ভারত ইমার্জিং দলকে উড়িয়ে দিলেন সৌম্যরা

বল হাতে দায়িত্ব সেরেছেন, পরে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন সৌম্য। ছবি: শামসুল হক
বল হাতে দায়িত্ব সেরেছেন, পরে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন সৌম্য। ছবি: শামসুল হক

ইন্দোরে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। স্বাগতিক দল হয়ে শক্তি দেখানোয় বাংলাদেশই-বা পিছিয়ে থাকবে কেন? সাভারে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ইমার্জিং কাপে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ২৪৭ রানের লক্ষ্য ৪৭ বল হাতে রেখেই ছুঁয়েছে বাংলাদেশ দল।

ম্যাচটা অবশ্য অনায়াসেই জেতার কথা বাংলাদেশের। নামে ইমার্জিং কাপ, কিন্তু বাংলাদেশ দল যে অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ। আন্তর্জাতিক অভিষেক না হলেও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সফর করার অভিজ্ঞতা আছে ইয়াসির আলীর। আর একাদশে ছয়জন খেলোয়াড়েরই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এর মাঝে সবচেয়ে অভিজ্ঞজন সৌম্য সরকার।

ম্যাচ অনুশীলনের মধ্যে রাখার জন্যই ইমার্জিং দলে নেওয়া হয়েছে সৌম্যকে। দুটি বিশ্বকাপ ও পাঁচ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভারতের ইমার্জিং দলের পরীক্ষা নেবেন সৌম্য, এটাই স্বাভাবিক। তাঁর ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম তো ভারতের মূল দলের সঙ্গেই ৮১ রানের এক ইনিংস খেলেছেন সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই। আফিফ হোসেন বা নাজমুল হোসেন শান্তরাও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন নয়। কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারবিহীন ভারত দল তাই পাত্তা পায়নি বাংলাদেশের কাছে।

টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল। বোলাররা সবাই মিলেই সে সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেছেন। কোনো ভয়ংকর স্পেলে দুমরে মুচড়ে যায়নি ভারতের ইমার্জিং দল। বরং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ভারত। এক প্রান্তে উইকেট তুলে নিয়েছেন হাসান-সুমন-তানভিররা। অন্যপ্রান্তে একাই লড়াই করে গেছেন আরমান জাফর। বিনায়ক গুপ্তকে (৪০) নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১২৫ রান যোগ করেছেন জাফর। ৪৪তম ওভারে দলকে ২১৩ রানে রেখে ফিরেছেন বিনায়ক। এরপর আর শেষের ঝড় তোলা সম্ভব হয়নি ভারতের উদীয়মান দলের পক্ষে। সুমন খান ও তানভির ইসলাম মিলে ৩৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট তুলে ইনিংসের শেষ বলে অলআউট করে দিয়েছেন ভারতকে। ৯৮ বলে ১০৫ রান করেছেন জাফর।

২৪৭ রানের লক্ষ্যে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। ৯ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন নাঈম। ১৫ রান সঙ্গীকে হারানোর দুঃখ সৌম্য ঝড় তুলে ভুলেছেন। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ বলে ৭৩ রান করেছেন জাতীয় দলের ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ২১ ওভারে ১৪৪ রান তুলেছেন সৌম্য-নাজমুল। অধিনায়ক নাজমুল অবশ্য দলকে দুই শ পার করে তবে এসেছেন। মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি নাজমুল। ৮৮ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসটি শেষ হয়েছে ৩০তম ওভারে।

১২১ বলে ৪৬ রান তোলার দায়িত্ব ছিল ইয়াসির আলী ও আফিফ হোসেনের। জয় থেকে ৫ রান দূরে ৩৯ বলে ২১ করে ফিরেছেন ইয়াসির। অপরাজিত ৩৪ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আফিফ।