ইনিংসে হারের পর যে ইতিবাচক ভাবনা সান্ত্বনা দিচ্ছে বাংলাদেশকে

পরের টেস্টে নতুন বাংলাদেশের দেখা মিলবে? ছবি: এএফপি
পরের টেস্টে নতুন বাংলাদেশের দেখা মিলবে? ছবি: এএফপি

ভারতে প্রথম টেস্ট খেলতে ১৬ বছর দরকার হয়েছে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে অত দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়নি। দুই বছর পরই ভারতের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ দল। ফলাফল বিবেচনায় অবশ্য বলা যাচ্ছে না, এ বিরতিতে কোনো উন্নতি এসেছে। ২০১৭ সালে হায়দরাবাদ টেস্টে ২০৮ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ ইন্দোরে শেষ হওয়া টেস্টে মুশফিকদের হারের ব্যবধান ইনিংস ও ১৩০ রানে। বাংলাদেশ তবু আশা হারাচ্ছে না, খুঁজে নিচ্ছে ইতিবাচক কিছু।

স্কোরবোর্ডে তাকালে এ ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কিছু পাওয়া কঠিন। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৫০ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং করার জন্য সেরা দিনটিতেও ২১৩ রানেই গুটিয়ে গেছে দল। ম্যাচসেরা ভারতের মায়াঙ্ক আগারওয়াল নিজেই যেখানে তুলেছেন ২৪৩ রান। ব্যাটিং বা বোলিং কোনো বিভাগেই কোচের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেনি দল। ফিল্ডিংয়েও হাত ফসকেছে ক্যাচ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে তবু অধিনায়ক মুমিনুল বলেছেন আশার কথা।

দুই বছর আগে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবারও দুই ইনিংসেই দলের সর্বোচ্চ স্কোরার মুশফিক। একমাত্র ইনিংসে ৪ উইকেট পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। সিরিজের পরের ম্যাচের জন্য এ থেকেই সান্ত্বনা খুঁজে নিচ্ছেন মুমিনুল, ‘আমি বেশ কিছু ইতিবাচক দিক পাচ্ছি। বিশেষ করে আবু জায়েদ, চার উইকেট পেয়েছে। মুশফিকুর দুই ইনিংসেই (৪৩ ও ৬৪) দারুণ খেলেছে। লিটনও ভালো করেছে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের খুব ভালো লাইন আপের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে, এটা একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের ১৫-২০ ওভার টেকার চেষ্টা করতে হবে।’

বাংলাদেশি বোলাররা দাগ কাটতে না পারলেও ভারতীয় পেসাররা ছিলেন ভয়ংকর। দুই ইনিংসে ১৪ উইকেট পেয়েছেন উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মা। ফলে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন দ্বিধান্বিত মনে হচ্ছে অধিনায়ককে, ‘ম্যাচের ফলে টস প্রভাব ফেলেছে। এটা বেশ কঠিন ছিল। আমরা জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলাম। সিদ্ধান্তটা আসলেই কঠিন ছিল।’

ভারতের মাটিতে ভারত আগে ব্যাটিং করলে কী হয় সেটা দক্ষিণ আফ্রিকা কদিন আগেই দেখেছে। আবার প্রতিপক্ষ আগে ব্যাট করলে পেসাররা পরীক্ষা নিচ্ছেন। ফলে টস জেতার পর কী করা উচিত সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকবেই। আপাতত তাই সেটা ভুলে ২২ নভেম্বরের কলকাতায় দিবারাত্রির টেস্টের করণীয় নিয়ে ভাবছেন অধিনায়ক, ‘দিবারাত্রির টেস্ট খেলার কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। আমরা সে ম্যাচটা উপভোগ করার চেষ্টা করব।’