এসএ গেমসে রানা নেই, আছেন জীবন

এসএ গেমসের দলে গোলরক্ষক আশরাফুল রানা নেই, আছেন স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন। ফাইল ছবি
এসএ গেমসের দলে গোলরক্ষক আশরাফুল রানা নেই, আছেন স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন। ফাইল ছবি
>এসএ গেমসের জন্য তিনজনের সিনিয়র কোটায় গোলরক্ষক আশরাফুল রানাকে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ জেমি ডে। জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় কোটায় জায়গা পেয়েছেন স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন।

ওমানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলে গতকালই ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। আগামী বছর মার্চের আগে বাছাইপর্বে কোনো ম্যাচ নেই। তবে ১ ডিসেম্বর কাঠমান্ডুতে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমস। গেমসকে সামনে রেখে ২৫ নভেম্বর থেকেই অনুশীলন শুরু করতে চান বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। বাংলাদেশের এই ব্রিটিশ কোচ আগেই জানিয়ে দিয়েছেন সোনা জয়ই তাঁর লক্ষ্য।

এর আগে কাটাছেঁড়া করে দল তৈরি করতে হবে তাঁকে। গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে খেলতে পারবেন তিনজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়। কারা হতে যাচ্ছেন সেই তিনজন? কোনো রাখ ঢাক না রেখেই জেমি জানিয়ে দিয়েছেন সেই তিনজনের নাম, ‘ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান, মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়া ও স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন।’

গত বছর এশিয়াডে ৩ সিনিয়র কোটায় দলে ছিলেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, জামাল ও গোলরক্ষক আশরাফুল রানা। অটোমেটিক চয়েজ জামালের সঙ্গে এবার তপুর স্থলে ইয়াসিন। কিন্তু গোলরক্ষক পজিশনে অভিজ্ঞ রানাকে দলে রাখার প্রয়োজন মনে করেননি বাংলাদেশ কোচ। বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর ওপর ভরসা রাখছেন তিনি, ‘জিকো শেষ মৌসুমে বসুন্ধরাকে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার ওপর আমার আস্থা আছে। তাঁর একটা সুযোগ পাওয়া প্রাপ্য।’

এসএ গেমসের জন্য গঠন করা হবে ২০ সদস্যের দল। ওমানের বিপক্ষে খেলা শেষ ম্যাচে ২৩ সদস্যের দলে ১৪ জনের বয়স ২৩ এর নিচে। তবে বিয়ের জন্য পাওয়া যাচ্ছে না ফরোয়ার্ড মতিন মিয়াকে। বাকি ১২ জনের সঙ্গে সিনিয়র কোটায় জামাল, ইয়াসিন ও জীবন। বাকি ৪ জনের মধ্যে দুজন হবে গোলরক্ষক এবং একজন করে মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড।