মুশফিক যেন ক্রিকেটের 'ইব্রাহিমোভিচ'

মুশফিকুর রহিম এবার বিপিএল মাতাবেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। ফাইল ছবি
মুশফিকুর রহিম এবার বিপিএল মাতাবেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। ফাইল ছবি
এর আগে বিপিএলের ছয় আসরের প্রতিটিতেই মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ভিন্ন ভিন্ন নামের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। সপ্তম আসরে এসেও ব্যতিক্রম হয়নি, মুশফিক এবার খুলনা টাইগার্সে। ফুটবলার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের দলবদলের সঙ্গে মিলিয়ে মুশফিককে তাই ক্রিকেটের ‘ইব্রাহিমোভিচ’ বলা যেতেই পারে!


ক্লাব বদলাতে সুইডিশ ফুটবলার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের জুড়ি মেলা ভার। স্বদেশি ক্লাব মালমো এফসি দিয়ে শুরু, সর্বশেষ খেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব এলএ গ্যালাক্সিতে। মাঝে আরও সাত দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এসি মিলানসহ ইউরোপের নামীদামি অনেক ক্লাবেই খেলা হয়ে গেছে তাঁর। ইব্রাহিমোভিচের মতো ক্লাব বদলানোর সুযোগ মুশফিকুর রহিমের নেই। তবে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, মুশফিককে বিপিএলের ‘ইব্রাহিমোভিচ’ বলে ফেলা যায়!

আজ রোববার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো বিপিএলের ড্রাফট। ড্রাফটে মুশফিকুর রহিমকে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স। এবার নিয়ে সপ্তমবারের মতো বিপিএল খেলতে যাচ্ছেন মুশফিক। সাত আসরে মুশফিকের গায়ে উঠেছে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন জার্সি!

২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে মুশফিক খেলেছিলেন নিজ বিভাগের ফ্র্যাঞ্চাইজি দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে। ২০১৩ সালে পরের বিপিএলেই নতুন দলে, চলে এলেন সিলেট রয়্যালসে। ২০১৫ সালে রদবদলের মধ্য দিয়ে যাওয়া তৃতীয় বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজির নাম হয় সিলেট সুপারস্টারস। সে সুবাদে মুশফিক সিলেটের হয়ে খেলেও নাম জড়াল আরেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে।

পরের বিপিএলে আর সিলেটের জার্সিতে দেখা যায়নি মুশফিককে। ২০১৬ বিপিএলে মুশফিক খেলেন বরিশাল বুলসের হয়ে। বরিশালেও এক বছরের বেশি থাকেননি, ২০১৭ বিপিএলে দল বদলে আবার চলে আসেন রাজশাহী কিংসে। পরের বারের গল্পটাও এক। ২০১৯ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত বিপিএলে মুশফিক আর রাজশাহীতে নেই, দল বদলে এবার চিটাগং ভাইকিংসে! দল বদলের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল এবারও। প্রথমবারের মতো খুলনার হয়ে খেলতে চলেছেন। যদিও বেশ কয়েকবারই প্লেয়ার্স ড্রাফট হওয়াতে দল নির্বাচনের সুযগ ছিল না তাঁর।

নতুন দলে গেলেও মুশফিক অবশ্য ব্যাট হাতে গতবারের পারফরম্যান্সটাই ধরে রাখতে চাইবেন। সর্বশেষ বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ১৩ ম্যাচে ১৩৯.২২ স্ট্রাইক রেটে ৪২৬ রান করেছিলেন। রানের দিক থেকে এটি ছিল মুশফিকের দ্বিতীয় সফল বিপিএল। এর আগে ২০১৩ আসরে সিলেট রয়্যালসের হয়ে খেলে সমান ম্যাচে ৪৪০ রান করেছিলেন। তবে এর আগে তিনি যে দলেই খেলেছেন, চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি কোনো দলই। ইব্রাহিমোভিচের দলগুলোর কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ না জেতার মরোই!

নতুন দলে গিয়ে এবার মুশফিক কি পারবেন প্রথমবারের মতো বিপিএল শিরোপার স্বাদ পেতে?