শামির সাফল্যের নেপথ্যে 'বিরিয়ানি'?

ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। ছবি: এএফপি
ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। ছবি: এএফপি
>ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি সাম্প্রতিক সময়ে ভীষণ উন্নতি করা পেসার। তাঁর সাফল্যের পেছনে কী রহস্য?

চেষ্টা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা এবং মেধার সমন্বয়ে কতটা উন্নতি করা যায় মোহাম্মদ শামি তার প্রমাণ। ইন্দোর টেস্টে দুই দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তাঁর দখলে। বাংলাদেশের ইনিংস ও ১৩০ রানের ব্যবধানে হারের পেছনে বড় অবদান শামির ৭ উইকেটের। ভারতীয় এ পেসারের সাম্প্রতিক উন্নতি চোখে পড়ার মতো। ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর উইকেটসংখ্যা ৫১টি। টেস্টে অন্তত ১০ ইনিংস বিবেচনায় শামির স্ট্রাইক রেটও (৩৬.৭) সবচেয়ে ভালো। তাঁর এ সাফল্যের কী রহস্য?

উত্তরটা জানলে মন খারাপ হতে পারে সরফরাজ আহমেদদের। পাকিস্তান দলের বাইরে থাকা সাবেক এ অধিনায়ক গত বিশ্বকাপে ফিটনেস নিয়ে ভীষণ সমালোচিত হয়েছিলেন। তখন জানা গিয়েছিল গোটা পাকিস্তান দলের বিরিয়ানি-প্রীতির কথা। মিসবাহ-উল হক পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক হওয়ার পর ড্রেসিং রুমে বিরিয়ানি নিষিদ্ধ করেন। এবার নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন শামির সাফল্যের রহস্য। হ্যাঁ, বিরিয়ানিই।

ইন্দোরে বাংলাদেশকে হারানোর পর ভারতের তিন পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও শামি মিলে কথা বলছিলেন ধারাভাষ্যকার হর্শা ভোগলের সঙ্গে। সেখানেই শামিকে চেপে ধরেন ইশান্ত ও যাদব। তাঁদের জিজ্ঞাসা ছিল, আমরা ব্যাটসম্যানকে শুধু পরাস্তই করতে পারি। কিন্তু শামি ব্যাটসম্যানের প্যাডে লাগালে সে আউট হচ্ছে কিংবা পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিচ্ছে—এর রহস্য কী? শামি প্রথমে একটু আমতা-আমতা করে বলেন, ‘অধিনায়ক ও কোচের কাছ থেকে পুরো স্বাধীনতা পেয়েছি।’ এরপর দুই সতীর্থের প্রশংসাও করেন এ পেসার। তারা থাকলে কোনোরকম চাপ ছাড়াই ভালো জায়গায় বল ফেলে যান শামি।

কিন্তু ইশান্ত ও যাদব তাঁর কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি। মজা করে ইশান্ত বলে বসেন, ‘আমরা এক কথা বলছি আর তুমি বলছ আরেকটা! তোমার মতো আমরাও একই জায়গায় বল ফেলি। কিন্তু আমাদের বল প্যাডে লাগলে তা স্টাম্পের বাইরে থাকে তোমারটা থাকে না। এটা কীভাবে সম্ভব?’ মজার জবাবে শামিও মজা করে বলেন, ‘লোকে বলে সব বিরিয়ানির ভেলকি।’এরপর অবশ্য শামির ব্যাখ্যা, ‘না অবশ্যই এমন কিছু না। এটা আসলে ভাগ্য ও সৃষ্টিকর্তার কৃপা। একটা ব্যাপার বলতে পারি, একটি নির্দিষ্ট লাইন ও লেংথে সব সময় মনোযোগ দিই। এখান থেকে সাফল্য পাওয়ায় বারবার তার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করি।’

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ২২ নভেম্বর শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এটি হবে গোলাপি বলে দিবারাত্রির ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই এ ম্যাচে ভারতের পেস আক্রমণে বাংলাদেশ দলের বড় মাথাব্যথা হতে পারেন শামি।