'আলু খেতে'ও গোল করতে পারেন রোনালদো

লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে রোনালদোর এই গোলটি পর্তুগালের হয়ে তাঁর ৯৯তম
লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে রোনালদোর এই গোলটি পর্তুগালের হয়ে তাঁর ৯৯তম
>লুক্সেমবার্গকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর মূলপর্বে উঠে গেছে পর্তুগাল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে করেছেন ৯৯তম গোল। তবে ম্যাচ শেষে লুক্সেমবার্গের মাঠকে ‘আলু খেত’ বলেছেন রোনালদো।

মনটা তাঁর ভালোই থাকার কথা। লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে একটি গোল করেছেন। দলও পেয়ে গেছে ২০২০ ইউরোর মূলপর্বের টিকিট। কিন্তু গত পরশু ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একটা ক্ষোভই ঝেড়েছেন। লুক্সেমবার্গের জোসি বার্থেল স্টেডিয়ামের মাঠটা যে ভালো লাগেনি পর্তুগাল অধিনায়কের। ভালো লাগেনি বললেও হয়তো কম বলা হবে। মাঠটিকে যে রীতিমতো ‘আলু খেত’ মনে হয়েছে রোনালদোর কাছে!

এমন বাজে মাঠে চোটমুক্ত থেকে খেলা শেষ করতে পেরেছেন এবং দল জিতেছে বলে অবশ্য খুশিই ৩৪ বছর বয়সী রোনালদো। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের মাঠে খেলাটা খুব কঠিন। এটা তো আর মাঠ নয়, যেন আলু খেত! আমি ঠিক বুঝতে পারছি না এই পর্যায়ের দলগুলো এমন মানের মাঠে কীভাবে ফুটবল খেলে। (মাঠের কারণেই) আমরা খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। তবে নিজেদের আসল কাজটা ঠিকই করতে পেরেছি। এই মাঠেই খেলতে হতো আর এখানেই আমরা ২-০ গোলে জিতেছি।’

এই নিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো ইউরোর মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল। আর ২০২০ ইউরো রোনালদোর জন্য টানা পঞ্চম। পর্তুগালের ২০১৬ ইউরো জয়ী দলের অধিনায়ককে একটু গর্বিতই মনে হচ্ছে, ‘শেষ দুটি ম্যাচ আমাদের জিততেই হতো। আমি কুশি যে আমরা জিতেছি এবং আমি পঞ্চমবারের মতো ইউরো খেলতে যাচ্ছি। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারাটা গর্বের। আর আমি গোল করে দলকে বাছাই পর্ব উতরাতে সাহায্য করতে পেরেছি বলেও খুশি।’

৩৯ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের গোলের পর পর্তুগালের দ্বিতীয় গোলটি রোনালদো করেছেন ৮৬ মিনিটে। পর্তুগালের হয়ে যেটি তাঁর ৯৯তম গোল। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি গোল একমাত্র আলী দাইয়ির। ইরানের স্ট্রাইকারের গোল অবশ্য আর বাড়বে না। ২০০৬ সালেই জাতীয় দলকে বিদায় জানিয়েছেন। এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল রোনালদোরই। ৭২ গোল নিয়ে তাঁর পরেই আছেন ভারতের সুনীল ছেত্রী। তৃতীয় স্থানে থাকা লিওনেল মেসির গোল ৬৮টি।

আলী দাইয়ির রেকর্ড কি ভাঙতে পারবেন বা চান রোনালদো? উত্তরটা যেন মুখস্থই ছিল তাঁর, ‘সব রেকর্ডই এক সময় ভাঙবে। আর রেকর্ডগুলো আমিই ভাঙব।’