বই বিক্রি বাড়াতে ওয়ার্নারকে লাগে ইংলিশদের?

ডেভিড ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ের অভিযোগ স্টোকসের। ফাইল ছবি
ডেভিড ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ের অভিযোগ স্টোকসের। ফাইল ছবি
>বেন স্টোকস তাঁর লেখা বইয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ের অভিযোগ এনেছেন। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন অবশ্য এটা মেনে নিতে পারছেন না।

স্লেজিং বা মাঠে বাজে আচরণ? এসবের ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এখন ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। এই তো দুদিন আগেও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে গালি দেওয়ার জন্য শাস্তি পেতে হয়েছে ফাস্ট বোলার জেমস প্যাটিনসনকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। শেফিল্ড শিল্ডের সর্বশেষ রাউন্ডের ম্যাচে আম্পায়ারের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হয়েছে স্টিভ স্মিথকে।

এসবের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটা ধাক্কা হয়ে এসেছে ইংল্যান্ডের একটি পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হতে থাকা বেন স্টোকসের বইয়ের একটি অধ্যায়। সেখানে ইংলিশ অলরাউন্ডার অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগই করেছেন—সর্বশেষ অ্যাশেজের হেডিংলি টেস্টে তাঁকে স্লেজিং করেছিলেন ওয়ার্নার! তবে অভিযোগটা স্টোকস খুব কৌশলে করেছেন, ‘সে তো অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিল।’

গত বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ওয়ার্নার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন এ বছরে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ দিয়ে। ওয়ার্নার ফেরার পর থেকেই অস্ট্রেলিয়া দলে তাঁর সতীর্থেরা বলে চলেছেন—এ যেন এক বদলে যাওয়া ওয়ার্নার! আগের মতো স্লেজিং তিনি করেন না, কারও সাতপাঁচেও আর থাকছেন না। শুধু নিজের মতো করে খেলে যাচ্ছেন!

সেই ওয়ার্নারই কি না অ্যাশেজে এমন একটি কাজ করলেন! এটা মানতেই পারছেন না স্টোকস, ‘সত্যি অন্য কেউ করলে আমি তা মেনে নিতাম। কিন্তু সে (ওয়ার্নার) এটা করল! সে খুব করে নিজেকে বদলাতে চাইছিল। সে ফিরে আসার পর তার সতীর্থরা তাকে যে “বিনয়ী” অভিধাটা দিয়েছিল সেটা হঠাৎ করে যেন উধাও হয়ে গেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক টিম পেইন স্টোকসের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘আমি তো পুরোটা সময়ই প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ডেভিডের পাশেই ছিলাম। এমন নয় যে আপনি ক্রিকেট মাঠে কথা বলতে পারবেন না। ও তো শুধু কথাই বলেছে। কোনোভাবেই ও তাকে (স্টোকস) স্লেজিং করেনি। ও হ্যাঁ, এটাতো ইংল্যান্ডে সাধারণ ব্যাপারই যে বই বিক্রি বাড়াতে ওরা ডেভির নামটা ব্যবহার করে।’