আফগানদের হারিয়ে ফাইনালে 'উদীয়মান' সৌম্যরা

হাসান মাহমুদের প্রথম স্পেলই সহজ এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ছবি: প্রথম আলো
হাসান মাহমুদের প্রথম স্পেলই সহজ এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। ছবি: প্রথম আলো

ক্রিকেটে এখন আর বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করার জন্য কোথাও খেলে না। বিশ্বকাপ হোক কিংবা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, অন্তত সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য থাকেই। আর এশিয়ান পরিমণ্ডলে সেটা অন্তত ফাইনালে পৌঁছানোর লক্ষ্য। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ইমার্জিং কাপে বাংলাদেশ সেদিক থেকে সফল। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সে লক্ষ্যে সফল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।

আফগানিস্তানকে বাংলাদেশ শুধু হারায়নি, রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার টিকেও ২২৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানরা। সে লক্ষ্য ছুঁতে বাংলাদেশদের উদীয়মানদের ৪০ ওভারও দরকার হয়নি। ৬১ বল হাতে রেখেই ফাইনালে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত দাপট দেখানো যাকে বলে।

হাসান মাহমুদের প্রথম স্পেলেই প্রায় শেষ হয়ে গেছে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লের পর সৌম্য সরকারও যোগ দিলেন উইকেট উৎসবে। ৩৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান ইমার্জিং দল। দলের একমাত্র অ-উদীয়মান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাওয়া সামিউল্লাহ শিনওয়ারিও বিদায় নিয়েছেন দলকে ৭৩ রানে রেখে। এরপর দুটি বড় জুটি পেয়েছে আফগানিস্তান। কিন্তু ৬৭ ও ৮৬ রানের সে জুটি দুটি শুধু দলকে ভদ্রস্থ ইনিংস এনে দিতে পেড়েছে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বড় স্কোর হয়নি এতে। ১২৮ বলে ১১৪ রান করে শেষ ওভারে আউট হয়েছে দারউইশ রাসুল।

টুর্নামেন্টের শুরুতেই ভারতকে উড়িয়ে দেওয়া বাংলাদেশের জন্য এ স্কোর যে কিছুই না সেটা প্রমাণ করেছেন সৌম্যরা। উদীয়মানদের এক টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাওয়া পাঁচ-ছয়জন নিয়ে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের কাছে পাত্তাই পায়নি আফগানিস্তানের তরুণ বোলাররা। নাঈম শেখ ১৭ রানে আউট হয়ে গেলেও নিজেদের ফর্ম ধরে রেখেছেন সৌম্য ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৯ বলে ৬১ রান করেছেন সৌম্য। ৬৮ বলে ৫৯ রান করেছেন নাজমুল। ১৫৪ রানে নাজমুলের বিদায়ের পরও রানের গতি কমেনি। জাতীয় দলে সুযোগের আশায় থাকা ইয়াসির (৩৮) ও ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আসা আফিফ (৩৬ বলে ৫৫ রান) ম্যাচটা শেষ করেছেন অনায়াসে।

আগামী ২৩ নভেম্বর পাকিস্তান ইমার্জিং দলের বিপক্ষে ফাইনালে খেলবেন সৌম্য-নাজমুলরা।