বাংলাদেশের এখন পানি টানার খেলোয়াড়ও নেই!

শামির বলে আঘাত পাওয়ার পর লিটন দাস। কনকাশনের কারণে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাঁকে। পাশে নাঈম হাসান। একটু পরে চোট পেয়ে হাসপাতালে গেছেন তিনিও। ছবি: এএফপি
শামির বলে আঘাত পাওয়ার পর লিটন দাস। কনকাশনের কারণে হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাঁকে। পাশে নাঈম হাসান। একটু পরে চোট পেয়ে হাসপাতালে গেছেন তিনিও। ছবি: এএফপি

সাইফ হাসান চোটে পড়ায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে কলকাতা টেস্টের একাদশ সাজাতে হয়েছে ১৪ জন খেলোয়াড় থেকে। আজ লিটন দাস ও নাঈম হাসান মাথায় আঘাতজনিত চোটে পড়ায় একাদশের বাইরে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুলকে নামতে হয়েছে বদলি হিসেবে। শুধু মোস্তাফিজুর রহমানই আছেন এখন একাদশের বাইরে।

ধরুন, মোস্তাফিজকে কারও বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করতে হচ্ছে, তখন পানি টানবেন কে? বাংলাদেশের অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, পানি টানার খেলোয়াড়ও নেই! অথচ ভারত সফরে বাংলাদেশের টেস্ট দল ছিল ১৬ জনের। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে মোসাদ্দেক হোসেন দেশে গেলেন, আর ফেরানো হয়নি তাঁকে। সাইফ হাসান চোটে পড়লেন ইন্দোরে থাকতেই। আকাশপথে কলকাতা-ঢাকার দূরত্ব ৩০ মিনিটের। বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট কি পারত না এ কদিনে নতুন করে কোনো ব্যাটসম্যানকে উড়িয়ে নিয়ে আসতে? দলে ব্যাটসম্যানের এমনই শূন্যতা লিটন দাসের ‘কনকাশন’ বদলি হিসেবে নামাতে হয়েছে বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে রাসেল ডমিঙ্গোকে বেশ কবার ব্যাখ্যা দিতে হলে কেন বাংলাদেশ স্কোয়াডে ব্যাটসম্যানের শূন্যতা, কেনই-বা বিকল্প উপায়গুলো ভাবেনি টিম ম্যানেজমেন্ট? ডমিঙ্গো বলছেন, ‘মোসাদ্দেক গ্রেড ওয়ান হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়েছে। সাইফকে পাওয়ার আশা ছিল। দুই-দিন আগে সে চোটে পড়ল।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। যদি ঘটেই যায় তখন প্ল্যান ‘বি’, ‘সি’ নিয়ে এগোতে হয়। বাংলাদেশের কাছে যে আর কোনো বিকল্প ছিল না, সেটি দেখাই গেল। সংবাদ সম্মেলনে যখন বারবার বদলি খেলোয়াড় প্রসঙ্গ এল, ডমিঙ্গো সেটি ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘সিরিজের আগেই দুজন ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর নতুন করে কারও কথা ভাবিনি।’

বদলি খেলোয়াড় নিয়ে অনেক কথা হওয়ার অর্থই হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের কৌশল-পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা। কিন্তু যাঁরা খেলেছেন, তাঁরা কেন ভালো করতে পারেননি? ডমিঙ্গোর কাছে এরও সদুত্তর নেই, ‘স্কিল ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দুটোই আছে। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিটাই বেশি ভোগাচ্ছে। এমন বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতাও খুব বেশি নেই। তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব একটা এ ধরনের ভালো মানের বোলারদের খেলে না। সত্যি এই মুহূর্ত দুর্দান্ত বিশ্বমানের বোলারদের খেলছি। আমাদের অনেক কঠিন বিষয় সামলাতে হচ্ছে আসলে।’

টস জিতে আগে ব্যাটিং করা নিয়েও কথা শুনতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। টস জিতে ব্যাটিং করার মধ্যে ভুল কিছু দেখছেন না বাংলাদেশ কোচ, ‘আমরা ভেবেছিলাম ব্যাট আগে করলেই জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। উপমহাদেশে ৯৯ শতাংশ সময়েই টস জিতে আগে ব্যাট নেওয়া হয়। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার মধ্যে ভুল কিছু দেখছি না।’