ম্যাচের মাঝে কেন শান্তকে ডাকা?

নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম আলো ফাইল ছবি
নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম আলো ফাইল ছবি

এমন ঘটনা টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসে কয়টা ঘটেছে কিংবা আদৌ ঘটেছে কিনা সন্দেহ! টেস্টের মাঝে দেশ থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে একজন ব্যাটসম্যানকে। ভাবনাটা হচ্ছে, যদি কোনো ব্যাটসম্যান আবার মাথায় আঘাতজনিত চোটে (কনকাশন) পড়ে, তাঁকে খেলিয়ে দেওয়া হবে!

শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও এখন বাংলাদেশ দলের এতটাই করুণ দশা। কনকাশন বদলি হিসেবে একাদশে কোনো ব্যাটসম্যান না থাকায় কাল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে পড়তে হয়েছে তীব্র সমালোচনায়। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্নে যথার্থ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। কলকাতা টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ব্যাটিংয়ের যে ভগ্ন দশা, রাতেই আলোচনা হয় দ্রুত আরেকজনকে ব্যাটসম্যানকে ঢাকা থেকে উড়িয়ে আনার। ডমিঙ্গো অবশ্য আগের মতোই রাজি হননি হঠাৎ নতুন কোনো খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে।

দ্বিতীয় ইনিংসেও যদি আবার কোনো ব্যাটসম্যান মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে চলে আসেন, পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ছাড়া আর কেউ নেই! নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট আজ দুপুরে সিদ্ধান্ত নেয় বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তকে (যেহেতু আকাশ পথে ৩০ মিনিটের পথ) ঢাকা থেকে কলকাতায় উড়িয়ে আনার, যিনি আজ সারা দিন ব্যস্ত ছিলেন ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনাল নিয়ে।

দলীয় সূত্র জানা গেল, সিদ্ধান্ত যখন হয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট ভেবেছিল ভারত হয়তো আজ প্রায় পুরোটাই ব্যাটিং করবে। কাল দিনের বড় অংশ পেলে তখন নাজমুলকে নামানো যাবে। কিন্তু আজই বাংলাদেশের যে করুণ দশা, নাজমুলের আসার আর প্রয়োজনীয়তা নেই! পরে তাকে না করে দেওয়া হয় কলকাতায় আসতে।

নাজমুলকে হঠাৎ এভাবে ডেকে নিজেদের এলোমেলো চিত্রটাই ফুটিয়ে তুলেছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। টিম ম্যানেজমেন্ট যেন উদভ্রান্তের মতো সমাধানের পথ খুঁজছে! আর তাতে নিতে হচ্ছে টেস্ট ম্যাচের মাঝে হঠাৎ একজন খেলোয়াড়কে উড়িয়ে আনার সিদ্ধান্ত। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাবনাটা কেন টেস্টের আগে ভাবেনি বাংলাদেশ?