মন বোঝা দায় ম্যারাডোনার

মন স্থির করতেই পারছেন না ম্যারাডোনা। ছবি : এএফপি
মন স্থির করতেই পারছেন না ম্যারাডোনা। ছবি : এএফপি

ম্যারাডোনার অস্থির মনে কখন যে কী চলে, বোঝা বড় দায়। কয়েক মাস আগেই আয়োজন করে আর্জেন্টিনার ক্লাব জিমনাসিয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। আট ম্যাচ কোচিং করিয়েই জিমনাসিয়ার কোচ হওয়ার খায়েশ মিটে গিয়েছিল এই তারকার। জানিয়েছিলেন, জিমনাসিয়ার ম্যানেজার হয়ে আর নয়। গত মঙ্গলবারের কথা এটা।

দুই দিন যেতে না যেতেই আবারও নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। জানিয়েছেন, জিমনাসিয়ার কোচ হিসেবেই কাজ চালিয়ে যেতে চান তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিজের সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। ইনস্টাগ্রামের ঘোষণার পর ম্যারাডোনার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলাও সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির মন পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন সবাইকে।

আর্জেন্টিনার হয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ইনস্টাগ্রামে জানান, ‘জিমনাসিয়ার ম্যানেজার হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করে যাব। এটা বলতে পেরে আমি অনেক খুশি।’

>

কিছুদিন আগেই আর্জেন্টিনার ক্লাব জিমনাসিয়ার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এখন পুরোপুরি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, জিমনাসিয়াকে আবারও কোচিং করানোর জন্য রাজি তিনি।

২০১০ সালে জাতীয় দলের কোচের পদ ছাড়ার পর নিজের দেশে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হয়নি ম্যারাডোনার। নয় বছর পর নিজের দেশে আবারও কোচিং করতে ফেরেন তিনি, জিমনাসিয়ার হয়ে। ম্যারাডোনা আসার আগে জিমনাসিয়া প্রথম বিভাগের পয়েন্ট টেবিলের একদম তলানিতে ছিল। ম্যারাডোনার অধীনে আট ম্যাচের তিনটিতে জয় পেয়ে টেবিলের ২২ নম্বরে উঠে আসে তারা।

এর আগে মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব দোরাদোস দে সিনালোয়াকে ৯ মাস কোচিং করিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। দুইবারের চেষ্টায় তাদের প্রথম বিভাগে তুলে আনতে ব্যর্থ হন ম্যারাডোনা। শারীরিক সমস্যার কারণে, কাঁধে ও হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানোর জন্য গত জুনে ওই দলের দায়িত্ব ছাড়েন ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া এই তারকা। এরপর সুস্থ হয়ে নেন জিমনাসিয়ার দায়িত্ব।