মেসি-সুয়ারেজের বন্ধু হতে চাইছেন গ্রিজমান

মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান গ্রিজমান। ছবি : এএফপি
মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চান গ্রিজমান। ছবি : এএফপি
>বার্সেলোনায় আসার পর লিওনেল মেসি আর লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে বোঝাপড়াটা এখনো ঠিক জমে ওঠেনি। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রিজমান। এবার জানালেন, তিনজন মিলে একসঙ্গে রাতের খাবারও খেতে গিয়েছেন এর মধ্যে।

বার্সেলোনায় এসে এখনো ঠিক খাপ খাওয়াতে পারছেন না ফরাসি তারকা আতোয়াঁ গ্রিজমান। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে থাকতে যেমন দুর্দান্ত ফর্মে প্রতিপক্ষকে একাই বশ মানাতেন, বার্সেলোনা এখনো সেই বিজয়ী গ্রিজমানকে দেখেনি। কেন দেখেনি?

এর পেছনে কারণ আছে একটা। গ্রিজমান এখনো তার আক্রমণভাগের নতুন সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ আর লিওনেল মেসির সঙ্গে রসায়নটা জমিয়ে তুলতে পারেননি। এর পেছনে কাজ করেছে এই তিনজনের মধ্যে পরিচয়ের অভাব। একে অন্যকে ভালোমতো চিনলেও, গ্রিজমানের সঙ্গে ওই দুজনের বন্ধুত্ব এখনো গড়ে ওঠেনি। এটা গ্রিজমান নিজেও বুঝেছেন। বুঝেছেন দেখেই মেসি আর সুয়ারেজের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। মাঠের বাইরেও মেসি আর সুয়ারেজ পরস্পরের অনেক ভালো বন্ধু। এই দুজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারলে মাঠের মধ্যেও রসায়নটা জমে উঠবে, এটা বোঝেন গ্রিজমান। তাই মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে বেশি বেশি করে সময় কাটানো শুরু করে দিয়েছেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। এর মধ্যে এই তিনজন একসঙ্গে একবার রাতের খাবারও খেতে গেছেন বলে জানিয়েছেন গ্রিজমান, ‘আমি আসলে একটু লাজুক স্বভাবের। মানুষজনের সঙ্গে নিজে থেকে যেচে পড়ে কথা বলতে ঠিক স্বচ্ছন্দ নই। তবে লিও (মেসি), লুইস (সুয়ারেজ) আর আমি আস্তে আস্তে একে অপরকে চেনা শুরু করেছি। এর মধ্যে একদিন আমরা রাতের খাবারও একসঙ্গে খেতে গিয়েছি। আশা করই আমরা আস্তে আস্তে একে অন্যের বেশ ভালো বন্ধু হতে পারব। যেটা আমাদের মাঠের খেলাতেও দেখা যাবে।’

এমনিতে গ্রিজমান নয়, আক্রমণভাগের তৃতীয় সতীর্থ হিসেবে মেসি খুব করে চেয়েছিলেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারকে। কিন্তু পিএসজির কাছ থেকে নেইমারকে আনতে পারেনি বার্সেলোনা। বোর্ডের ওপর এ কারণে বেশ রেগেও গিয়েছিলেন মেসিসহ দলে অন্যান্য মূল তারকারা। এই অবস্থায় দলে আসার কারণে গ্রিজমানের একটু কষ্ট হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গ্রিজমানের কথা শুনে বোঝা গেল, খেলোয়াড় মেসির বেশ গুণমুগ্ধ ভক্ত তিনি, ‘আগামী ৪০ বছরেও মেসির মতো খেলোয়াড় দেখা যাবে না। অসাধারণ একটা খেলোয়াড় সে। ওকে খেলতে দেখাটাই চোখের জন্য স্বস্তিদায়ক।’