ভোগলেকে অপমান করে বিপাকে মাঞ্জরেকার

হার্শা ভোগলেকে তাঁর ক্রিকেট না খেলা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন মাঞ্জরেকার। ফাইল ছবি
হার্শা ভোগলেকে তাঁর ক্রিকেট না খেলা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন মাঞ্জরেকার। ফাইল ছবি
>গোলাপি বলের ম্যাচ শেষে ধার ভাষ্যকারদের আলোচনায় হার্শা ভোগলেকে অপমান করেছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। এর জন্য ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা ধুয়ে দিচ্ছেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যানকে

গোলাপি বলে অভিষেকে দুর্দান্ত এক জয়ের আনন্দ এখনো থেমে যায়নি ভারতে। এর মধ্যেই ভারতের সমর্থকেরা আবার সাবেক ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধুয়ে দিচ্ছে! গোলটা বেঁধেছে গোলাপি বল নিয়েই। কেমন হলো ভারতীয় ক্রিকেটারদের গোলাপি বল দর্শন—এ নিয়ে আলোচনায় হার্শা ভোগলেকে একপ্রকার অপমানই করেছেন মাঞ্জরেকার। এ কারণেই চটেছেন ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

কৃত্রিম আলোর নিচে গোলাপি বলে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা কেমন হয়েছে? এই নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে ভোগলে বলেছিলেন, বল দেখতে কোনো সমস্যা হয় কি না সেটা ভারতীয় ক্রিকেটারদের জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে। এর জবাবে মাঞ্জরেকার খোঁচা দিয়েছেন ভোগলেকে, ‘হার্শা, শুধু তোমারই এটা জিজ্ঞেস করে দেখতে হবে। আমরা যারা ক্রিকেট খেলেছি তাদের এটা জিজ্ঞেস করার দরকার নেই।’

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়া ভোগলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বাইরে কখনো ক্রিকেট খেলেননি। তবে ১৯ বছর বয়স থেকে অল-ইন্ডিয়া রেডিওতে ধারাভাষ্য দিতেন। পড়াশোনা শেষ করে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ দিয়ে। সেখানে বছর দু-এক চাকরি করার পর কাজ করেছেন একটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে ভারতের প্রথম ধারাভাষ্যকার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) নিমন্ত্রণ পান ভোগলে। সেই থেকে ভারত দলের অস্ট্রেলিয়া সফরে এবিসি রেডিওর গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ইএসপিএন স্টারের হয়ে কাজ করছেন।

ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভোগলের এই ক্যারিয়ারটা জানা আছে বলেই হয়তো মাঞ্জরেকারের ওপর চটেছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। এক সমর্থক টুইট করেছে, ‘ভীষণ আত্মতৃপ্তিই সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ধারাভাষ্যকার করে দিয়েছে। ভোগলের কাছে জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ভোগলে আপনি ঠিকই বলেছেন। দুই দলের খেলোয়াড়দের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করায় কোনো ভুল নেই। মতামত জানাটা তো ভালো। মাঞ্জরেকার আপনি খুব বাজে ভাবে কথাগুলো বলেছেন। আপনার একজন সতীর্থ ধারাভাষ্যকার যদি ক্রিকেট না খেলে থাকে সেটা তাকে কীভাবে বলতে হবে সেটা আপনি জানেনই না। আপনি ভারতের হয়ে কয়টা ম্যাচ জিতেছেন?’