'আমাদের তো ওরকম বোলারও লাগবে'

দারুণ এক পেস আক্রমণই ভারত দলকে বদলে দিয়েছে। ছবি: এএফপি
দারুণ এক পেস আক্রমণই ভারত দলকে বদলে দিয়েছে। ছবি: এএফপি

উপমহাদেশে প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট। গোলাপি বলে অভিষেকের ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজন ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। কিন্তু পাঁচ দিনের সেই আয়োজনে ভন্ডুল করে দিয়েছে বাংলাদেশ। কলকাতার এই টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মিছিলে নেমেছিলেন। কাগজে-কলমে ম্যাচটি তিন দিনে শেষ হয়েছে। কিন্তু হিসাব বলছে টেস্টটি আসলে ছিল ‘দুই দিনের’! স্পষ্টত ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের অসহায়ত্ব।

ভারত সফরে টানা দ্বিতীয় টেস্টেও ইনিংস হারের পর এখান থেকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঘরোয়া ক্রিকেটের সংস্কার। ঘরোয়াতে মরা উইকেটে খেলা হয় বলে ব্যাটসম্যানরা বানের জলের মতো রান পেয়ে থাকেন। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গেলেই খেই হারিয়ে ফেলে তারা। যে কথাটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন ক্রিকেট ব্যক্তিত্বরা। মানহীন ঘরোয়া আসরের জন্য ভালো টেস্ট দল হয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ, এটা এখন মানছেন সবাই। তবে শুধু উইকেট বা ঘরোয়া ক্রিকেটই নয়, এর আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান।

ঘরোয়াতে এখন স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হলেও ব্যাটসম্যানদের শেখার সুযোগ কম বলে জানিয়েছেন নাজমুল হাসান, ‘এটা (ঘরোয়ার উন্নতি দরকার) এক দিক দিয়ে ঠিক। আরেক দিক দিয়ে ঠিক না। ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়ে লাভটা হবে কি? ঘরোয়াতে আমরা এখন স্পোর্টিং উইকেট করছি বাউন্সি পেসারদের জন্য। এখন একটা অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট খেলছে, সিরিজ খেলছে। আবার ইমার্জিং টিম খেলছে। জাতীয় দলও কিন্তু নেই। তাহলে যে সমস্ত বোলার আছে (ঘরোয়াতে) তাদের বিপক্ষে ব্যাটিং করে এরা কি শিখবে?’

শুধু উইকেট তৈরি করলেই চলবে না। সে উইকেটে বল করার মতো ভালো বোলারেরও প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি, ‘আপনি কার সঙ্গে তুলনা করছেন? আমাদের তো ওরকম বোলারও (ভারতের মতো) লাগবে। আপনি শুধু উইকেট বানালে তো হবে না। যাদের খেলবে তাদের ওরকম গুনাগুণ থাকা লাগবে। এবার দল বিশ্বসেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে খেলেছে। বোলিংয়ের ধারটাও বাড়াতে হবে।’

এ সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য দুইটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিসিবি, ‘এটা নিয়ে অবশ্যই আমরা চিন্তা করছি। আমরা সত্যি সত্যি দুটি পরিকল্পনা করেছি। আপনারা এটা দুই-তিন মাসের মধ্যে দেখবেন। টেস্ট ক্রিকেটে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। স্বল্প সময়ের জন্যও করেছি। আমার মনে হয় এটা কাজে দেবে। ব্যাটিং ভালো হবে।’