নেপালের পুলে ঝড় তোলার স্বপ্ন আরিফুলের

আরিফুলের চোখে সাঁতারে সোনা জয়ের স্বপ্ন। ছবি: সংগৃহীত
আরিফুলের চোখে সাঁতারে সোনা জয়ের স্বপ্ন। ছবি: সংগৃহীত

উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু আগেভাগেই নেপাল গেছে বাংলাদেশের সাঁতারুরা। কাঠমান্ডুর কালুপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে প্রতিদিন দুইবেলা চলছে কঠোর অনুশীলন। নেপালের শীতে এরই মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন সাঁতারুরা। কিন্তু আসছে এসএ গেমসে নেপালের ২৫ মিটার সুইমিং পুলে অভ্যস্ত হওয়াটা বাংলাদেশের সাঁতারুদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে নেপালের ভূ-প্রাকৃতিক উচ্চতা ও ২৫ মিটার পুলের চ্যালেঞ্জ জয় করে সোনা জয়ের স্বপ্নই দেখছেন তারা।

এসএ গেমসের এই দলে আছেন বিকেএসপির সাঁতারু আরিফুল ইসলাম। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) বৃত্তি নিয়ে ফ্রান্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। এরপর সর্বশেষ ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় জাতীয় সাঁতারে জিতেছেন ছয়টি সোনা। প্রথমবার অংশ নিচ্ছেন এসএ গেমসে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতার সাফল্যটা ধরে রাখতে চান আন্তর্জাতিক আসরেও। কাঠমান্ডু থেকে আজ মুঠোফোনে আরিফুল বলছিলেন, ‘এখানে আমাদের অনুশীলন খুবই ভালো হচ্ছে। প্রতিদিন দুই বেলা কঠোর অনুশীলন করছি। জাপানি কোচ আমাদের অনেক ভালো ট্রেনিং দিচ্ছেন। আশা করি এখানে সোনা জিততে পারব।’

মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে ৫০ মিটার পুলে সাঁতারে অংশ নেন আরিফুল। কিন্তু নেপালে ২৫ মিটার পুলে হবে প্রতিযোগিতা। এটাকে বাড়তি সুবিধা হিসেবেই দেখছেন আরিফুল, ‘২৫ মিটারে টার্নিং ও স্টার্টিং সব সময় ভালো হয়। তা ছাড়া আমাদের সবাই এখানে দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।’ মূলত ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকেই পাখির চোখ করছেন আরিফুল। ফ্রান্সে অনুশীলনে এই ইভেন্টে ক্যারিয়ার সেরা ১.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। এই টাইমিং ধরে রাখতে পারলে ভালো কিছুর আশা করছেন তিনি। এই ইভেন্টে সর্বশেষ ২০১৬ এসএ গেমসে গুয়াহাটিতে সোনা জেতেন ভারতীয় সাঁতারু সন্দ্বীপ সেজওয়াল। তাঁর টাইমিং ছিল ১:৭.৭৩ সেকেন্ড। সেই হিসেবে আরিফুলের টাইমিং যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলা যেতেই পারে।

গত আসরে সাঁতারে দুটি সোনা জেতেন মাহফুজা খাতুন শিলা। আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়ায় এবারের গেমসে নেই তিনি। কিন্তু পানিতে না নামলেও মার্চপাস্টে বাংলাদেশের পতাকা বইবেন শিলা। নৌ বাহিনীর এই সাঁতারুর সাফল্যে অনুপ্রাণিত আরিফুল, ‘শিলা আপুর অর্জনটা শুধু আমি একা নই, গেমসের সব সাঁতারু অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছে। আমরাও চাই শিলা আপুর মতো একাধিক ইভেন্টে সোনা জিততে।’

সহকারী কোচ গোলাম মোস্তফা কাঠমান্ডু থেকে শোনালেন আশা জাগানিয়া কথা, ‘এখানে যদিও রাতে ১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা। কিন্তু দিনে ১৭ ডিগ্রি। এই আবহাওয়ায় এবং উচ্চতার সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে সাঁতারুরা। আমরা আরও পরে এলে বেশ বিপদেই পড়তাম। আগেভাগে এসেছি বলে আশা করছি সাঁতারে ভালো একটা ফল উপহার দিতে পারবে আমাদের ছেলেমেয়েরা।’