পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ইংরেজিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলায়...

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ডিন জোন্স। ছবি: এএফপি
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ডিন জোন্স। ছবি: এএফপি
>পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ইংরেজিজ্ঞানের সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদকর্মী। তার মোক্ষম জবাব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ারই সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্স

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংরেজি ভাষা সর্বজন গ্রহণযোগ্য এবং প্রচলিতও। ক্রিকেটারেরাও ইংরেজি ভাষাতেই বেশি কথা বলে থাকেন। ইংরেজি জানা না থাকলেও সমস্যা নেই। মাতৃভাষাতেও কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। কিংবা ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতেও চালিয়ে নেন অনেকে। আসল কাজ তো মাঠের খেলা, সেটি ঠিকঠাকমতো করতে পারলে ভাষা কোনো সমস্যা না। কিন্তু পুরোনো এ কথা নতুন করে বলার কারণ অস্ট্রেলিয়ার সংবাদকর্মী টনি তারদিও-র বিতর্কিত এক টুইট।

মেলবোর্নের রেডিও চ্যানেল ‘৩এডব্লিউ’-র সংবাদকর্মী টনি তারদিও আজ টুইট করেন, ‘অ্যাডিলেড ওভালে ফক্স স্পোর্টসকে পাকিস্তানের এক পেসারের দেওয়া সাক্ষাৎকার শুনলাম। একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি একটি শব্দও বুঝিনি।’ বলা বাহুল্য, পাকিস্তানের সেই পেসারের ইংরেজিজ্ঞানকে কটাক্ষই করেছেন টনি তারদিও। তবে পেসারটি কে তা জানা যায়নি। কিন্তু তারদিও-র টুইট ক্রিকেটপ্রেমীরা ভালোভাবে নেননি। এক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘উর্দুতে একটা বাক্য বলুন। দয়া করে একটা বাক্য...লজ্জা পাবেন না।’

ডিন জোন্সের সেই টুইট। ছবি: টুইটার
ডিন জোন্সের সেই টুইট। ছবি: টুইটার

ক্রিকেটপ্রেমীরা ছাড়াও সাবেক ক্রিকেটারেরাও সমালোচনা করেন তারদিও-র টুইটের। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ডিন জোন্স তো এক হাত নিয়েছেন এ সংবাদকর্মীকে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেন জোন্স, ‘ওরা অন্তত চেষ্টা করে টনি...ইংরেজি তাদের দ্বিতীয় ভাষা আর আমাদের ছেলেরা আরব আমিরাতে গিয়ে ম্যাচের সাক্ষাৎকারে উর্দুতে কথা বলে না।’

ডিন জোন্সের এ টুইট প্রশংসিত হয়েছে ক্রিকেটমোদীদের মধ্যে। ভারতীয় এক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘প্রফেসর ডিনো, তোমাকে ভালোবাসি। আমি ভারত থেকে বলছি। জবাবটা হৃদয় ভরিয়ে দিয়েছে।’ আরেক টুইটার ব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘খুব ভালো বলেছেন ডিনো। অনেক খেলাধুলাতেই অনেক চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় আছেন যারা ইংরেজিতে কথা বলেন না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্রিকেট তো বেশির ভাগই ব্রিটেনের সাবেক ঔপনিবেশিক দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই প্রত্যাশা থাকে সবাই ইংরেজিতে বিশেষজ্ঞ হবে। কিন্তু সব সময় এমন হয় না।’