শাস্ত্রীর মতো হয়ে দেখান, সমালোচনাকারীদের কোহলি

কোহলি-শাস্ত্রী সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ। ছবি : এএফপি
কোহলি-শাস্ত্রী সম্পর্ক বরাবরই উষ্ণ। ছবি : এএফপি

টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে রবি শাস্ত্রীর পোস্টগুলো দেখুন। এরপর পোস্টের নিচে আসা কমেন্টগুলো পড়তে থাকুন।

কী দেখলেন? প্রায় প্রতিটি পোস্টেই শাস্ত্রীকে রীতিমতো হেয় করে কমেন্ট করা হচ্ছে। সর্বশেষ পোস্টের কথাই ধরা যাক। স্পিন কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের সঙ্গে দুটি ছবি দিয়েছিলেন শাস্ত্রী। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’ এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে গেছে নেতিবাচক মন্তব্যে।

এই কুম্বলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই ভারতের কোচের চাকরিটা পেয়েছিলেন শাস্ত্রী। মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার। একজন লিখেছেন, ‘জঘন্যতম কোচ।’ আরেকজনের মতে, ‘কুম্বলেকে যদি আপনার আসলেই শ্রেষ্ঠ মনে হয় তাহলে তাকেই কোচ হতে দিন।’

>

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো পোস্ট দেওয়ার উপায় নেই, রবি শাস্ত্রীকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় ঠাট্টা-তামাশা, হাসি-মশকরা। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছে ব্যাপারটা নিছক কাকতালীয় বলে মনে হচ্ছে না..

শুধু এটাই নয়, কোহলির সঙ্গে কিছুদিন আগে একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে কমেন্ট এল, ‘এভাবেই কোহলির কথা মতো চলতে থাকেন, তাহলে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত চাকরি পাকা হয়ে যাবে।’
এমন উদাহরণ পাওয়া যাবে। ব্যাপারটা এ-কান, ও-কান হতে হতে কোহলি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ভারতের অধিনায়ক বেশ ভালোই জানেন, শাস্ত্রীকে নিয়ে প্রশংসা করার চেয়ে সমালোচনা করার লোকই বেশি এখন। কিন্তু এমন কেন হচ্ছে? কোহলি এর পেছনে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র খুঁজে পেয়েছেন, ‘পরিকল্পনা করেই রবি ভাইকে ট্রল করা হচ্ছে। অধিকাংশ সময়ে এই ঘটনাগুলো পরিকল্পনা মাফিক করা হয়। কেন করছে, কী কারণে করছে, বলতে পারব না। যদিও রবি ভাই এসব পাত্তা দেন না।’

‘রবি ভাই’ পাত্তা না দিলেও, কোহলি যে এই ঘটনায় বেশ বিরক্ত, সেটা বোঝা গেল, ‘দশ নম্বর ব্যাটসম্যান থেকে একদম ওপেনার হয়ে যাওয়া, যেমন-তেমন কথা নয় এটা। ওপেনার হিসেবে ৪১ গড়ও আছে রবি ভাইয়ের। এ রকম একটা চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়কে যারা বাসায় বসে বসে ট্রল করে, রবি ভাই তাদের পাত্তা দেন না। এরপরেও কারওর সমালোচনা করার ইচ্ছে হলে বলব, আগে রবির মতো হয়ে দেখান। রবি যেসব বোলাদের সামলেছেন, তাদের সামলে দেখান! রবি যা করেছেন, সেগুলো করেন। সাহস দেখান দেখি। তারপর না হয় আপনার কথা শুনব আমরা।’