ম্যাচ পাতানো বন্ধে বেতন বাড়াবেন সৌরভ

ভারতের লিগগুলোতে ম্যাচ পাতানো ভাবাচ্ছে গাঙ্গুলীকে। এএফপি, ফাইল ছবি
ভারতের লিগগুলোতে ম্যাচ পাতানো ভাবাচ্ছে গাঙ্গুলীকে। এএফপি, ফাইল ছবি

ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলো বেশ বড় এক ধাক্কা খেয়েছে। কর্ণাটক ও তামিল নাড়ুর টি-টোয়েন্টি লিগে ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এমনকি অন্য লিগগুলোতেও খেলোয়াড়দের কাছে নিয়মিত ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তিত হলেও শুধু প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই লিগ বন্ধ করতে রাজি নন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।

কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গেছে এরই মাঝে। দুজন ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তাকে নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগেও বেশ কিছু খেলোয়াড়কে স্পট ফিক্সিং ও ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়েও তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ অবস্থায় লিগগুলো বন্ধ করে দেওয়া যায় কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।

প্রশ্নের উত্তরে নেতিবাচক জবাব দিয়েছেন সৌরভ, ‘আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি। ওই রাজ্যদলগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। কেপিএল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। অন্তত যত দিন সব সমস্যার সমাধান না হচ্ছে। চেন্নাই (তামিল নাড়ু), সৌরাষ্ট্র এবং মুম্বাইয়েও লিগ আছে। সৌরাষ্ট্র ও মুম্বাইয়ের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আসেনি। কিন্তু চেন্নাইয়ের ব্যাপারে কিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সব নিয়েই কাজ করছি। শুধু খেলোয়াড়দের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, এ কারণেই লিগ বন্ধ করা যায় না। কারণ সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও এক খেলোয়াড়কে নাকি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এটা কোনো সমস্যা নয়, ভুল নয় (প্রস্তাব পাওয়া)। সমস্যা হলো প্রস্তাব আসার পর ওরা যা করে সেটা (কর্তৃপক্ষকে না বলা)। শুধু কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, এর কারণে টুর্নামেন্ট বন্ধ করা কঠিন।’

>

ভারতের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে ম্যাচ পাতানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ জন্য খেলোয়াড় গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। কথা উঠেছে, এসব ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বন্ধ করা উচিত কি না। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী অবশ্য ম্যাচ পাতানো বন্ধে খেলোয়াড়দের বেতন বাড়াতে চান।

ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়া ও সেটা কর্তৃপক্ষকে না জানানোর পেছনে স্থানীয় ক্রিকেটারদের কম বেতনের কথা বলা হয়ে থাকে। উপমহাদেশে সবচেয়ে উঁচু বেতন কাঠামো ভারতেই। তবু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তুলনায় সেটা বেশ কম। গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, এ দিকটাও ভেবে দেখছেন তারা। এক মাসের মধ্যেই বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করবেন তাঁরা। তবে বেতন বাড়ানোর দায়িত্বটা রাজ্যের ওপরই দিচ্ছে বিসিসিআই, ‘রাজ্য সংস্থাগুলোই চুক্তিপত্র দেবে। ওরাই খেলোয়াড়দের দেখভাল করে।’