দাবা নিয়ে অনেক স্বপ্ন বেনজীর আহমেদের

র‍্যাব সদর দপ্তরে দাবার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো
র‍্যাব সদর দপ্তরে দাবার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। ছবি: প্রথম আলো

গত ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ এশিয়ান দাবা কাউন্সিলের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত নবগঠিত এই কাউন্সিলের উদ্বোধনী কংগ্রেসে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। বড় দায়িত্ব পেয়েই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন। তবে সবার আগে নিজের দেশের দাবার উন্নয়নের জন্য হাত দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলে। বুধবার র‍্যাব সদর দপ্তরে বসে শোনালেন নিজের পরিকল্পনার কথা।

দাবার উন্নয়নে একেবারে তৃণমূলে যেতে চান বেনজীর আহমেদ। দেশব্যাপী চালু করতে চান স্কুল দাবা। যেকোনো খেলায় উন্নতি করতে হলে তৃণমূলে যাওয়ার বিকল্প নেই। এ জন্য স্কুল দাবাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বেনজীর আহমেদ, ‘স্কুল দাবা আয়োজনের চেষ্টা করছি। তাতে সারা দেশ থেকে মেধা উঠে আসবে। স্কুল থেকেই ছেলেমেয়েরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। ফলে সেখান থেকেই শুরু করতে হবে। এ ছাড়া দাবা খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে। পারিবারিকভাবেও দাবা শিশুদের মনমানসিকতার উন্নতিতে অনেক সহায়ক হবে।’

তবে প্রতিটি জেলার প্রতিটি স্কুলে দাবা ছড়িয়ে দিতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তবে স্কুল দাবার জন্য পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানও প্রস্তুত আছে বলে জানালেন, ‘যেকোনো খেলার উন্নতির জন্য অর্থের প্রয়োজন। আর যদি একেবারেই তৃণমূলে যেতে চান, তাহলে খরচ আরও অনেক বেশি। তবে একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্কুল দাবা আয়োজনের জন্য অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি।’

বাংলাদেশের দাবার ভালো সম্ভাবনাও দেখছেন বেনজীর আহমেদ। এর জন্য পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন অনুভব করছেন তিনি, ‘বাংলাদেশে দাবা অনেক ভালো পর্যায়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে ক্রিকেট ধরে, তার আগে জনপ্রিয় ছিল ফুটবল। তাই ক্রীড়া সাংবাদিকতা ও পৃষ্ঠপোষকতা সবই ক্রিকেটকে ও ফুটবলকে ঘিরে। এর বাইরেও যে অনেকগুলো খেলা আছে, সেগুলো বেশি প্রাধান্য পায় না। আমাদের সব মিলে ৫৪টি ফেডারেশন আছে। গুরুত্ব ধরে ধরে প্রতিটি খেলার দিকে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলোর মনোযোগ দেওয়া উচিত।’