মাঞ্জরেকারকে খোঁচা ভারতীয় ব্যাটসম্যানের

লোকেশ রাহুলের প্রশংসা করতে গিয়েও একটু খোঁচা খেতে হলো সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে। ছবি: সংগৃহীত।
লোকেশ রাহুলের প্রশংসা করতে গিয়েও একটু খোঁচা খেতে হলো সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে। ছবি: সংগৃহীত।

সেই যে গত বছরের জুলাইয়ে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটা সেঞ্চুরি করেছিলেন, এরপর থেকে গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের আগপর্যন্ত তাঁর ব্যাট তেমন হাসেনি। এ সময়ে ১২ ইনিংসে ফিফটি মাত্র একটি, চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস দুটি। এ দুটি নিয়ে ইনিংসে বিশের বেশি রানই তাঁর ব্যাট দেখেছে মাত্র তিনবার। সেই লোকেশ রাহুলই সর্বশেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে করলেন দুটি ফিফটি, সর্বশেষটি কাল হায়দরাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের রেকর্ড গড়া জয়ে।

এখন রানে ফিরলেও এত দিন চারদিক থেকে আসা সমালোচনাগুলো সম্ভবত মনে পুষেই রেখেছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। না হলে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের কথায় ওভাবে খোঁচা মারবেন কেন? এমন পারফরম্যান্সের পর রাহুলের প্রশংসা তো হওয়ারই কথা, ম্যাচের পর মাঞ্জরেকারও প্রশংসাসূচক কথাই বলেছিলেন। কিন্তু রাহুলের জবাবটা হলো খোঁচায়!

নাগপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন ৩৫ বলে ৫২ রান, কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪০ বলে ৬২। ছক্কা চারটি, চার পাঁচটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৭ তাড়া করে ভারত যে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল, সেটিও ৬ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে, তাতে বিরাট কোহলির ৫০ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটিই পাদপ্রদীপের যত আলো কেড়ে নিচ্ছে। নেওয়ারই কথা, কিন্তু আড়ালে টিমটিমে জ্বলছে রাহুলের ইনিংসও। দ্বিতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে তাঁর ৬১ বলে ১০০ রানের জুটিই তো পথ দেখিয়েছে ভারতকে!

কোহলি-বন্দনার মাঝেই ম্যাচের পর তাই রাহুলেরও প্রশংসায় মেতেছিলেন মাঞ্জরেকার। বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ভারতের সাবেক এই ব্যাটসম্যান ম্যাচের পর রাহুলকে বলছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে, তুমি যখন এভাবে ১৫০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করো, এই রাহুলকেই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।’ কিন্তু সেটির জবাবে রাহুলের দিক থেকে এল খোঁচা। ঠিক মাঞ্জরেকারকে উদ্দেশ্য করেই, এমন নয়। খোঁচাটায় যেন মিশে থাকল এত দিনের সমালোচনা শুনতে থাকা মনে জমে ওঠা অভিমান, ‘যখন রান করি, তখন সবারই আমাকে ভালো লাগে। ব্যাপারটা এমনই। তবে স্ট্রাইকরেট মাথায় রেখে তো আর ইনিংস সাজানো যায় না!’

তা বটে। তবে শুধু স্ট্রাইকরেটই নয়, রাহুল যেন কোনো কিছুই মাথায় রাখতে চাইছেন না। ভারমুক্ত হয়ে ইনিংস ধরে ধরে ধারাবাহিকতা রাখতে চান ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান, ‘কয়েকটা সিরিজ ধরে টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছি। আপাতত শুধু এটাকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর কথাই ভাবছি। আশা করি আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এভাবে ভাবনাহীন থেকে চালিয়ে যেতে পারব।’

আগামী বছরের অক্টোবরে কী? অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একটা টুর্নামেন্ট, যেটির নাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।