সোনার লড়াইয়ে ১০০ রানও তুলতে পারল না মেয়েরা

বাজে ব্যাটিংয়ের পর এখন বোলিংয়ে ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বাংলাদেশকে। ফাইল ছবি
বাজে ব্যাটিংয়ের পর এখন বোলিংয়ে ভালো করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বাংলাদেশকে। ফাইল ছবি

এসএ গেমস ক্রিকেটে আজ নেপালের পোখারায় সোনার পদক জয়ের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। পো্খারা রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আজ ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে হতাশই করেছে সালমা খাতুনের দল। পুরো ২০ ওভার খেলে এক শ রানও তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ৯১ রান তুলতে পেরেছেন নারী ক্রিকেটাররা।

এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই জয় দিয়ে এসএ গেমস ক্রিকেটে শুভসূচনা করেছিলেন নারী ক্রিকেটাররা। সে ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ১২২ রানের পুঁজি বাংলাদেশ টপকে গিয়েছিল ৯ বল হাতে রেখে। কিন্তু আজ সোনার পদক জয়ের চাপেই কি না কে জানে, ব্যাটিংটা মোটেও ভালো হলো না ফারজানা হক-নিগার সুলতানাদের। নেপাল ও মালদ্বীপের মতো দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতে নিজেদের শক্তিটা ভালোই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সে তুলনায় শক্তিশালি দল হওয়ায় চ্যালেঞ্জটা নিতেই হতো মেয়েদের। অন্তত ব্যাটিংয়ে সে চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলেন না ব্যাটাররা।

>

এসএ গেমস ক্রিকেটে আজ মেয়েদের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৯১ রান তুলেছে বাংলাদেশ

প্রথম ওভারে ৯ রান তুলে ভালো শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ও আয়শা রহমান। চতুর্থ ওভারে মুর্শিদা (১৪) আউট হলেও সামনে যে এর চেয়েও বড় ফাঁস অপেক্ষা করছে তা জানত কে! ৭ম ওভারে একটি নয় দুটি নয় এমনকি তিনটিও নয়, চার-চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৩৬। পরের ওভার শেষে তা দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৬! চার উইকেট হারানোর পাশাপাশি এ সময় স্কোরবোর্ডে যোগ হয়নি কোনো রান।

লঙ্কান অফ স্পিনার উমেশা থিমাসিনির স্পিন ফাঁসে সপ্তম ওভারে মিডলঅর্ডার তছনছ হয় বাংলাদেশের। এ সময় আউট হন আয়শা (২), সানজিদা (১৫), ফারজানা (০) ও রিতু মনি (০)। চারে নামা নিগার সুলতানা স্রোতের বিপরীতে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। নিগারের ৩৭ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসটি বাংলাদেশের পুরো ২০ ওভার খেলাই শুধু নিশ্চিত করেছে। শেষ দিকে ফাহিমা ১৫ রান করলেও বাকিরা সেভাবে দাঁড়াতে না পারায় সাদামাটা সংগ্রহেই থেমেছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এ ম্যাচে ৭৯টি ডেলিভারি ‘ডট’ দিয়েছেন ব্যাটাররা। অর্থাৎ মাত্র ৪১টি ডেলিভারি ছিল স্কোরিং শট। সপ্তম ওভারে ওভাবে মুখ থুবড়ে না পড়লে বাংলাদেশের ব্যাটিং অন্তত এর চেয়ে ভালো হতো। কিন্তু ফাইনালে শক্তি প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার চাপটা নিতে পারেননি ব্যাটাররা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন থিমাসিনি।