কোহলিকে খেপিয়ে তুলছেন সতীর্থরা

সতীর্থদের পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারছে না কোহলির। ছবি: এএফপি
সতীর্থদের পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারছে না কোহলির। ছবি: এএফপি

গতকাল টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার পরই মনে হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে চলেছে এই ম্যাচ। হয়েছেও তাই, সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলেছে। সিরিজ জয় নিশ্চিত করার ম্যাচে রানটা একটু কমই হয়েছিল ভারতের। অবশ্য বিরাট কোহলি শুধু ব্যাটসম্যান নয়, খেপেছেন পুরো দলের ওপরই। তাঁর দাবি, দল যেভাবে ফিল্ডিং করছে, তাতে রানবন্যা বইয়েও লাভ হবে না।

টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের দাওয়াই একটাই, যেভাবেই হোক আগে ফিল্ডিং করা। রান তাড়া করতে নামায় ভারত যে প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী! ২০১৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্টিতে ২১ বার আগে তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ বার ব্যর্থ হয়েছে ভারত। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করা ২৫ ম্যাচের ১১টিতেই হেরেছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২০৮ রানের লক্ষ্যও অবলীলায় ছুঁয়েছে ভারত। গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে তাই কোনো ঝুঁকি নেয়নি। ফিল্ডিং বেছে নিয়েছে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছে ব্যাটিংয়ের বড় সব নাম। এক শিভাম দুবে (৫৪) ছাড়া আর কেউই পারেননি বড় স্কোর গড়তে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহজ জয়ে বড় ভূমিকা ভারতের ফিল্ডারদের। তিনবার ক্যাচ ফেলেছেন তাঁরা। মাঠের ফিল্ডিংও ছিল যাচ্ছেতাই। কোহলি তাই ম্যাচের শেষে ক্ষোভ লুকানোর কোনো চেষ্টা করেননি, ‘আমাদের হয়তো আরও ১৫ রান বেশি করা উচিত ছিল আজ। কিন্তু এমন ফিল্ডিং করলে কোনো স্কোরই যথেষ্ট বড় না। গত দুই ম্যাচেই আমরা ফিল্ডিং বাজে করেছি। বল হাতে ভালোই করেছি আমরা। প্রথম চার ওভারে অনেক চাপ সৃষ্টি করেছি কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে দুবার ক্যাচ ফেললে সেটার ফল আপনাকে ভোগ করতেই হবে। ওরা যদি এক ওভারে দুই উইকেট হারাত, তাহলে ওদের ওপর চাপ থাকত।’

পঞ্চম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে দুই ওপেনারকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ভারত। কিন্তু লেন্ডল সিমন্সের ক্যাচ ফেলেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। আর দুই বল পরে ঋষভ পন্ত ফেলেছেন এভিন লুইসের ক্যাচ। ম্যাচে ৪৫ বলে অপরাজিত ৬৭ রান তোলা সিমন্স তখন ছিলেন ৬ রানে। ৪০ রান করা লুইস ছিলেন ১৬ রানে। শেষ দিকে নিকোলাস পুরানের ক্যাচ ফেলেছেন শ্রেয়াস আয়ার। তখন ১৮ রানে থাকা পুরান পরে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন ১৮ বলে ৩৮ রান করে।

কোহলি তাই তাঁর ফিল্ডারদের পারফরম্যান্স ঢাকার কোনো চেষ্টা করেননি, ‘এটা ছোট ছোট কিছু বিষয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার খেলা। আমাদের বুঝতে হবে কোথায় ভুল করছি আমরা। এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সবাই জানে কী হচ্ছে এবং সবাইকে উন্নতি করতে হবে। ফিল্ডিংয়ে আমাদের আরও সাহসী হতে হবে এবং ক্যাচ হাতছাড়া করা নিয়ে চিন্তা করা যাবে না।’

ম্যাচের সবচেয়ে কঠিন ক্যাচটি ধরে কোহলি নিজেই সবচেয়ে বড় উদাহরণ সৃষ্টি করেছিলেন কিন্তু সতীর্থরা তা অনুসরণ করতে পারেননি। ১১ ডিসেম্বরের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সবাই অধিনায়কের পথে না হাঁটলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে সিরিজ খোয়াতে হবে স্বাগতিকদের।