এমন আচরণ কেন করলেন জামাল

নেপালের বিপক্ষে জামালের আচরণ খেলোয়াড়সুলভ ছিল না। ছবি: ফাইল ছবি, প্রথম আলো
নেপালের বিপক্ষে জামালের আচরণ খেলোয়াড়সুলভ ছিল না। ছবি: ফাইল ছবি, প্রথম আলো
>এসএ গেমসে নেপালের বিপক্ষে হারের ম্যাচে লালকার্ড দেখেছেন জামাল ভূঁইয়া। শুধু তা-ই নয়, রেফারি ও লাইন্সম্যানের সঙ্গে বাজে আচরণও করেছেন। লাল কার্ড দেখার পর দু হাতে ধাক্কা দিয়েছেন লাইন্সম্যানকে। গর্হিত এসব আচরণের পর নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় পড়েছেন তিনি। ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নিষিদ্ধ হতে পারেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক

গতকাল দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ফুটবলে নেপালের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে ১-০ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এ হারে ৫ দলের মধ্যে তৃতীয় হয়ে গেমস শেষ করেছে জামাল ভূঁইয়ারা। সোনার লক্ষ্য নিয়ে গিয়ে ব্রোঞ্জ জেতাটা বড় ব্যর্থতাই বলা যায়। তবে নেপালের বিপক্ষে গতকালকের ম্যাচটি একটি বড় ধাক্কাই হতে পারে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য। বাজে আচরণের জন্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পড়তে পারেন জাতীয় দলের অধিনায়ক।

গতকাল ম্যাচের শেষ দিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জামালকে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে তেড়ে এসে ফাউল করার জন্য ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ডের খড়্গ নেমে আসে তাঁর ওপর। বিপত্তিটা বেঁধেছে লাল কার্ড দেখার পর প্রধান ও সহকারী রেফারিকে ধাক্কা দেন তিনি। আহত নেপালি খেলোয়াড়ের শরীরে পা-ও ছুঁইয়েছেন তিনি। যেকোনো বিচারেই ফুটবল মাঠে যেগুলোকে বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ম্যাচ কমিশনার যদি তাঁর প্রতিবেদনে রেফারির বক্তব্য উল্লেখ করে এএফসিতে জমা দেন, তাহলেই বড় শাস্তি হতে পারে জামালের।

ফিফা রেফারিদের টেকনিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর আজাদ রহমানের শঙ্কা সেটিই, ‘যেভাবে তেড়ে এসে ফাউল করা হয়েছে আর মাটিতে শুয়ে থাকা খেলোয়াড়ের শরীরে পা ছোয়ানো হয়েছে, ফুটবলের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা খুবই খারাপ আচরণ। এ ছাড়া লাল কার্ড দেখার পর সে প্রধান রেফারি ও সহকারী রেফারিকেও ধাক্কাও মেরেছে।  ম্যাচ কমিশনার তাঁর প্রতিবেদন এএফসিতে জমা দিলে ডিসিপ্লিনারি কমিটি ভিডিও ফুটেজ দেখে জামালকে নিষিদ্ধ করলেও করতে পারে। সঙ্গে হতে পারে আর্থিক জরিমানা।’ নিষিদ্ধ হলে সেটি হতে পারে ৬ ম্যাচ পর্যন্ত।

প্রশ্ন হতে পারে এটা তো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের টুর্নামেন্ট এবং এএফসি বা ফিফার নির্ধারিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়, তাহলে শাস্তি কেন? এই বিষয়টিরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন আজাদ রহমান, ‘এটি আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট যা এএফসি ও ফিফার ফুটবল আইন অনুযায়ীই হয়েছে। এটা যদি ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচও হতো, শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এএফসি বা ফিফা। শুধু নির্ভর করবে ম্যাচ কমিশনারের প্রতিবেদন ও তথ্য প্রমাণের ওপর।’