মাশরাফি-নবী কেন ছিলেন না

বিপিএলে অধিনায়কদের ফটোসেশনে ছিলেন না মাশরাফি ও মোহাম্মদ নবী। ছবি: বিসিবি
বিপিএলে অধিনায়কদের ফটোসেশনে ছিলেন না মাশরাফি ও মোহাম্মদ নবী। ছবি: বিসিবি
>অনুশীলনের পরেই মাশরাফি চলে গেছেন, অধিনায়কদের ফটোসেশনে থাকেননি। ঢাকার প্রতিনিধি হয়েছে পাঠানো হয়েছে মুমিনুলকে

বিসিবি জানাল, বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সব অধিনায়কের একটা ফটোসেশন হবে একাডেমি মাঠে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলে এলেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, চিটাগংয়ের মাহমুদউল্লাহ, সিলেটের মোসাদ্দেক হোসেন, কুমিল্লার দাসুন শানাকা ও ঢাকার মুমিনুল হক।

অধিনায়কের তালিকায় মুমিনুলের নামটা দেখে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে, ঢাকা প্লাটুনকে তো নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাহলে মুমিনুল কেন? জানা গেল, অনুশীলনের পরেই মাশরাফি চলে গেছেন, অধিনায়কদের ফটোসেশনে থাকেননি। ঢাকার প্রতিনিধি হয়েছে পাঠানো হয়েছে মুমিনুলকে।

পাঁচ দলের প্রতিনিধি সময়মতো চলে এলেও রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল আর রংপুরের মোহাম্মদ নবীর জন্য অপেক্ষা করতে হলো আরও আধা ঘণ্টা। অনুষ্ঠানটা সন্ধ্যায় করায় বিসিবি একাডেমি মাঠে মশার উৎপাতে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের অপেক্ষা করাই কঠিন হয়ে গেল! তবুও তাঁরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলেন। রাসেল ছয়টার দিকে এলেও শেষ পর্যন্ত নবী উপস্থিত হতে পারেননি। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হলো, যানজটে আটকা পড়েছেন রংপুরের আফগান অধিনায়ক। দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করতে তাঁকে পরে আসতে ‘না’ করে দেওয়া হয়েছে।

ফটোসেশনের নামে যে পর্বটা হলো, সেটিও কম কৌতুকপ্রদ নয়! সব অধিনায়কদের এক জায়গায় করা হচ্ছে, অথচ ট্রফি উন্মোচনের পর্বটা রাখা হয়নি। অনুষ্ঠান কি আরেকটু গুছিয়ে, পরিকল্পিতভাবে করা যেত না? বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী বললেন, ‘আজ প্রতিটি দলের অনুশীলন ছিল। কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে অধিনায়কদের কেউ কেউ আসতে পারেনি। তবে আমরা সবাইকে জানিয়েছিলাম। সময়স্বল্পতার কারণে আমরা ফটোসেশনটা দ্রুত শেষ করলাম।’

এবার বিপিএল হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নামে। অন্যবারের তুলনায় এবারের টুর্নামেন্টে গোছালো আর সুশৃঙ্খলভাবে করার দাবিটা তাই বেশি। তবে বিসিবি কর্তাদের আশা, শুরুতে একটু এলোমেলো হলেও ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।