'মাঠে নেমে মনে হয়েছে ৮০টি সিগারেট খেয়েছি'

এই ধোঁয়াশার মধ্যেই আজ সিডনিতে খেলা হয়েছে শেফিল্ড শিল্ডের। ছবি: রয়টার্স
এই ধোঁয়াশার মধ্যেই আজ সিডনিতে খেলা হয়েছে শেফিল্ড শিল্ডের। ছবি: রয়টার্স
>আজ সিডনির বাতাসের গুণমান ছিল ১৭০, ঢাকার ১৫৮। মানে ঢাকার চেয়েও দূষিত বায়ু ছিল আজ সিডনিতে। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার স্টিভেন ও’কিফের মনে হচ্ছিল, তিনি যেন ৮০টি সিগারেট খেয়েছেন।

স্টিভেন ও’কিফ নিজে ধুমপায়ী নন। কিন্তু সিডনি ক্রিকেট মাঠে সারা দিন খেলার পর তাঁর মনে হয়েছে যেন ৮০টি সিগারেট খেয়েছেন! কেন? এতটাই ধোঁয়াচ্ছন্ন ছিল আজ সিডনির বাতাস।

এই অবস্থা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট শেফিল্ড শিল্ডের নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে খেলা সব খেলোয়াড়েরই। না হয়ে উপায় কী! পুরো সিডনির অবস্থাই যে খারাপ!

কদিন ধরেই আগুনে পুড়ছে নিউ সাউথ ওয়েলসের জঙ্গল। সিডনি ও এর আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের কালো ধোঁয়া। বাতিল হয়েছে ফেরি, ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অনেক মানুষকে। সিডনির বাতাসের গুণমানও আজ অত্যন্ত খারাপ। এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্সের ওয়েবসাইট দেখাচ্ছে, আজ সিডনির বাতাসের গুণমান ছিল ১৭০, ঢাকার ১৫৮। মানে ঢাকার চেয়েও দূষিত বায়ু ছিল আজ সিডনিতে। এর মধ্যেই সিডনিতে শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ডের ম্যাচটির শেষ দিনের খেলা হয়েছে। ম্যাচটি ৯ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিক নিউ সাউথ ওয়েলস।

ম্যাচ শেষে সিডনির বাতাসকে ‘বিষাক্ত’ বলেছেন ও’কিফ। আর কুইন্সল্যান্ডের ব্যাটসম্যান উসমান খাজা বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতে আমি এ রকম কন্ডিশনে আগে কখনো খেলিনি।’ খেলা চলাকালে অবশ্য নিয়মিতই খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকেরা। ও’কিফ তো বলেই দিয়েছেন খুব জরুরি না হলে শহরের মানুষের ঘর থেকে বের হওয়াই উচিত না, ‘আমার কোনো সন্তান নেই। থাকলে আমি অবশ্যই ওদের ঘরের মধ্যে আটকে রেখে দিতাম। এই পরিস্থিতিতে ঘর থেকে বের হওয়ার মানেই হয় না।’

গত নভেম্বরে দিল্লিতে এমন ধোঁয়ার রাজ্যে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটি খেলেছিল বাংলাদেশ।