তামিম-মুশফিকদের 'ওষুধ' দিলেন রাসেল

আন্দ্রে রাসেল। এবার বিপিএলে বোলারদের ত্রাস। ছবি: স্পার্টান স্পোর্টস টুইটার পেজ
আন্দ্রে রাসেল। এবার বিপিএলে বোলারদের ত্রাস। ছবি: স্পার্টান স্পোর্টস টুইটার পেজ
>বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলকে শারীরিক শক্তি বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন আন্দ্রে রাসেল

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আন্দ্রে রাসেল বোলারদের যম। ভালো লেংথের বলও অবলীলায় পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে। শেষ ওভারে ঠেকাতে হবে ১৫-২০ রান, উইকেটে আছেন রাসেল—এ অবস্থায় কোনো বোলারই স্বস্তিতে থাকেন না। গত কয়েক বছর ধরে রাসেলের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জন্যই বোলারদের এই অস্বস্তি। তাঁকে শুধু মারকুটে বললে ভুল হবে, ক্রিকেটে দানবীয় ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত তিনি। তাঁর বড় বড় ছক্কাগুলো অবাক করে দেয় সবাইকে। রাসেল কোত্থেকে পান এত শক্তি?

৩১ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারের সুঠাম শারীরিক গঠনই বলে দেয় তিনি একজন ভালো অ্যাথলেট। এর সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম আর সঠিক খাদ্যাভ্যাস রাসেলকে দিয়েছে এমন শক্তি। ক্যারিবীয় তারকা এবার বিপিএলে খেলছেন রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে। নেতৃত্বও দিচ্ছেন দলটির। তাঁর মতো একজন মারকুটে তারকা ব্যাটসম্যানের কাছে পেয়ে পাওয়ার হিটিংয়ের টোটকা নেওয়ার কথা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের।

ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে পাওয়ার হিটিংয়ে বাংলাদেশ দল বরাবরই দুর্বল। যেকোনো ডেলিভারিকে সীমানাছাড়া করার কৌশলটা এখনো পুরোপুরি শিখে ওঠা যায়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে হয় স্কিল হিটিংয়ে। কিন্তু ভালো বলকে ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতিতে সীমানাছাড়া করতে যে পরিমাণ শারীরিক শক্তির দরকার বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যানেরই তা নেই। এদিকে আগামী বছর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিপিএলের সুবাদে রাসেলের কাছ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করার টোটকা তো পেতেই পারেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানরা? ঠিক এ প্রসঙ্গেই আজ তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন এক সংবাদকর্মী।

দুবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী রাসেলকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল ২০২০ বিশ্বকাপে কীভাবে ভালো করতে পারে? রাসেল এর জবাবে শারীরিক শক্তি বাড়ানোর বিষয়টি টানলেন। এ জন্য কী করা উচিত, সে প্রসঙ্গে তাঁর পরামর্শ, ‘বেশি করে ডাম্পলিং জাতীয় খাবার, মিষ্টি আলু ও কলা খেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে বলব বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।’ রাসেলের মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

রাসেল বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলতে ভালোবাসেন। ‘সংক্ষিপ্ত’ এবং ‘বেশি মজা’র কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের তুলনায় বিপিএল তাঁর বেশি পছন্দের টুর্নামেন্ট। তাঁর ভাষায়, ‘এ টুর্নামেন্ট অনেক মজার। দুনিয়ার এ প্রান্তে সব সময়ই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। তাই দ্বিতীয়বার ভাবিনি।’