দর্শকের খরায় প্রাপ্তি মিঠুনের ব্যাটিং

৪৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেললেন মোহাম্মদ মিঠুন। ছবি: শামসুল হক
৪৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেললেন মোহাম্মদ মিঠুন। ছবি: শামসুল হক

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরুর দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি দেখলে হতাশই হতে হবে। দর্শক প্রায় নেই বললেই চলে। দর্শক-খরার মধ্যেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার্স ম্যাচে বাজিমাত করলেন সিলেটের মোহাম্মদ মিঠুন। দারুণ ব্যাটিংয়ে আনন্দ দিলেন মাঠে উপস্থিতজনদের। মোসাদ্দেক হোসেন মারকুটে না হলেও সঙ্গ দিয়ে গেছেন মিঠুনকে। এই দুইয়ের দুর্দান্ত জুটিতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান তুলেছে সিলেট।

টসে জিতে ফিল্ডিং বেছেছিল চট্টগ্রাম। রুবেল হোসেন-রায়ান এমরিট-নাসুম আহমেদরা শুরুতে মোটামুটি ভালোই করেছিলেন। দলীয় ৫ রানেই রুবেলের বলে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানকে ক্যাচ দেন সিলেটের রনি তালুকদার। কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়ে জনসন চার্লস শুরুর ধাক্কাটা বড় হতে দেননি। এই জুটিতে অবশ্য মিঠুনের চেয়ে চার্লসই ছিলেন মারমুখী। ২৩ বলে, ৭টি চার মেরে ৩৫ রান করে নাসুমের বলে বোল্ড হন চার্লস।

>

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরুর ম্যাচে মুখোমুখি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার্স।

মিঠুন-মোসাদ্দেকের ৯৬ রানের জুটি ছিল সিলেট থান্ডার্সের ইনিংসের মেরুদণ্ড। ছবি: শামসুল হক
মিঠুন-মোসাদ্দেকের ৯৬ রানের জুটি ছিল সিলেট থান্ডার্সের ইনিংসের মেরুদণ্ড। ছবি: শামসুল হক

শ্রীলঙ্কান বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান জীবন মেন্ডিস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এরপর। ৪ রান করেই এমরিটের বলে বাউন্ডারির কাছে চাডউইক ওয়ালটনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হন। তবে এর পরের পুরোটাই মিঠুন আর মোসাদ্দেকময়।
মোসাদ্দেক দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন মিঠুনকে। ৪৮ বলে ৮৪ করেছেন মিঠুন। এ দুইয়ের জুটি ৯৬ রানের। মিঠুন তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসে বাউন্ডারি মেরেছেন ৪টি, ছক্কা ৫টি। এর মধ্যে নাসুমের করা ১৩তম ওভারেই মেরেছেন তিনটি। মিঠুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও ৩৫ বলে ২৯ রান করে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে রুবেল ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। নাসুম আর এমরিট নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।