বিপিএলের ট্রফি আসে ইংল্যান্ড থেকে

এবারের টুর্নামেন্টের লোগোতে একটু পরিবর্তন এসেছে, তাই হুবুহু আগের নকশায় ট্রফিও তৈরি হবে না। ছবি-বিসিবি
এবারের টুর্নামেন্টের লোগোতে একটু পরিবর্তন এসেছে, তাই হুবুহু আগের নকশায় ট্রফিও তৈরি হবে না। ছবি-বিসিবি

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কাল অধিনায়কদের নিয়ে একটা বিশেষ পর্ব রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অধিনায়কদের এক জায়গা হওয়া মানেই সেখানে ট্রফির উপস্থিতিও থাকবে। অধিনায়কদের নিয়ে ঘটা করে উন্মোচন করা হয় সে ট্রফি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এই রীতিটা দেখা যায় না। দেখা যায়নি কালও। অধিনায়কদের এক জায়গায় করে শুধুই ফটোসেশন করা হয়েছে। এই পর্বটাও অবশ্য নিয়মিত দেখা যায় না বিপিএলে। ২০১৫ বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে ওঠানো হয়েছিল সাত দলের ‘আইকন’ খেলোয়াড়দের। এবারও বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে, তবে সেখানে ক্রিকেটারদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। বিসিবি হয়তো এ কারণেই আলাদা করে অধিনায়কদের একটা পর্ব করেছে।

>

দূর থেকে শুধু একটা ট্রফিই মনে হয়। বিপিএলের এ ঝকমকে ট্রফির নেপথ্যের গল্পও কম আগ্রহোদ্দীপক নয়। বিপিএলের ট্রফি কিন্তু বাংলাদেশ তৈরি হয় না। আনা হয় ইংল্যান্ড থেকে।

অধিনায়কদের যখন এক জায়গায় করাই হলো ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানটাও করা যেত নিশ্চয়ই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলছেন, ট্রফি নিয়ে তাঁদের ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে, ‘বিপিএলে আমরা ট্রফি ঘটা করে উন্মোচন করি না। একই ট্রফি প্রতিবার ব্যবহার করি। তবে এবার ট্রফি নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা আছে। সেটা সময়মতো আপনাদের জানানো হবে। কাল অধিনায়কদের অনুষ্ঠানে এ কারণে ট্রফির পর্ব রাখা হয়নি।’

বিসিবি সূত্রে জানা গেল, বিপিএলের ট্রফিটা বাংলাদেশে তৈরি হয় না। এটি আনা হয় ইংল্যান্ড থেকে। লন্ডনের ‘ইংকারম্যান’ প্রস্তুত করে বিপিএলের ট্রফি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পরামর্শে বিসিবি বিপিএলের ট্রফি তৈরির দায়িত্ব দেয় ইংকারম্যানকে। এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ট্রফিও। বিপিএলের ট্রফি তৈরিতে এবার খরচ পড়ছে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা। যেহেতু এবারের টুর্নামেন্টের লোগোতে একটু পরিবর্তন এসেছে, হুবুহু আগের নকশায় ট্রফি তৈরি হবে না। তবে প্রতিবারের মতো ট্রফিতে সোনালি আভা থাকবে। বিসিবি মনে করছে, দু–এক দিনের মধ্যে চলে আসবে বিপিএলের ট্রফি।