বিপিএলে শুরুতে এমন 'নো বল'-'ওয়াইড'

ক্রিসমার স্যান্টোকির সেই নো বল। ছবি: টুইটার
ক্রিসমার স্যান্টোকির সেই নো বল। ছবি: টুইটার
>চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে দুটি ডেলিভারিতে সবাইকে অবাক করেছেন ক্রিসমার স্যান্টোকি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ পেসার বিশাল দুটি ওয়াইড ও নো বল করেছেন

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসে তখন দ্বিতীয় ওভার। বল করছিলেন ক্রিসমার স্যান্টোকি। ক্যারিবীয় এ পেসারের তৃতীয় ও পঞ্চম ডেলিভারিটি অবাক করবে যে–কাউকেই। তৃতীয় ডেলিভারিতে লেগ সাইডে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য ওয়াইড। এরপর পঞ্চম বলে যে ‘নো বল’টি করলেন সেটিও অবিশ্বাস্য। পেশাদার ক্রিকেটে সাধারণত এত বড় ওয়াইড ও নো বল দেখা যায় না।

স্যান্টোকি তৃতীয় বলটি করার সময় স্ট্রাইকে ছিলেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানের পা থেকেও অনেক বাইরে বল করেছেন স্যান্টোকি। পপিং ক্রিজে ওয়াইডের যে দাগ তার বাইরে ফুলটস বলটা পিচ করান সিলেট থান্ডারের এ পেসার। বলটা অবশ্য একটু সুইং করেছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানের পায়ের বাইরে ছিল বলের লাইন। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুন বাঁ প্রান্তে ডাইভ দিয়ে বলটা গ্লাভসবন্দী না করলে ওয়াইডের সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৪ রান পেয়ে যেত চট্টগ্রাম।

স্যান্টোকির নো বলের পর বার্নি রনির সেই টুইট। ছবি: টুইটার
স্যান্টোকির নো বলের পর বার্নি রনির সেই টুইট। ছবি: টুইটার

এরপরের দুটি ডেলিভারিতে স্যান্টোকি কোনো রান দেননি। পঞ্চম ডেলিভারিতে এসে আবারও চমকে দেন সবাইকে। এত বড় নো বল সচরাচর দেখা যায় না। স্যান্টোকির ডান পা দাগ থেকে প্রায় এক হাত বাইরে ছিল। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে মোহাম্মদ আমিরের কুখ্যাত ‘নো বল’ থেকেও বড় ছিল স্যান্টোকির নো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। একই ওভারে এমন ভীষণ দুটি বাজে ডেলিভারি যে রোজ রোজ চোখে পড়ে না।

এ নিয়ে দুটি টুইট করেছেন বিখ্যাত ইংলিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের প্রধান ক্রীড়া লেখক বার্নি রনি। প্রথমে তিনি নো বলের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘ইয়া! ইউ আর ক্লোজ টু দ্য লাইন দেয়ার মেইট!’

এরপর ওয়াইডের ভিডিও পোস্ট করে রসিকতা করেন রনি। ছবি: টুইটার
এরপর ওয়াইডের ভিডিও পোস্ট করে রসিকতা করেন রনি। ছবি: টুইটার

এরপর ওয়াইড বলের ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, ‘দিস ওয়াজ দ্য বল বিফোর দ্যাট ভেরি আনফরচুনেট ম্যাসিভ নো বল। অ্যান্ড আনফরচুনেট ম্যাসিভ ওয়াইড।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শুধু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেয়েছেন স্যান্টোকি। ১২ ম্যাচ খেলা এ পেসার দেশের হয়ে সবশেষ খেলেছেন ২০১৪ সালে। এখন খেলে বেড়াচ্ছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ। খেলেছেন আইপিএলেও। এবার বিপিএলে শুরুতেই বিতর্কিত দুটি ডেলিভারি করে প্রশ্নের জন্ম দিলেন স্যান্টোকি।