চট্টগ্রামের জয়ে খাঁ খাঁ গ্যালারির 'দুঃখ'

ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস খেলেন ইমরুল। ছবি: প্রথম আলো
ম্যাচ জেতানো এক ইনিংস খেলেন ইমরুল। ছবি: প্রথম আলো
>বিপিএলে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে শুরুতেই প্রকট দর্শকখরায় ভুগেছে গ্যালারি

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এবার বিপিএলে বিশেষ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিপিএল। এ নিয়ে শুরু থেকেই সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছিল বিসিবিতে। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে করা হয়েছে জাঁকালো উদ্বোধন। এত কিছু করা হয়েছে নিশ্চয়ই দর্শক টানতে? তাহলে এবার বিপিএল প্রথম দিন বিচারে কিন্তু ‘পাস মার্কস’ পাবে না।

খাঁ খাঁ গ্যালারি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে গুটিকয়েক দর্শক। আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-সিলেট থান্ডারের ম্যাচে এটাই মূল ‘হাইলাইটস’। চট্টগ্রাম বিকেলে ব্যাট করতে নামায় তখন দর্শক বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। অবশ্য কোনো দলই এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে মাঠে নামেনি। সাধ্যমতো ক্রিকেট খেলে জয় তুলে নেওয়াই যেহেতু লক্ষ্য, চট্টগ্রাম প্রথম ম্যাচে এ কাজটা সাফল্যের সঙ্গেই করল। সিলেটকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে শুভ সূচনা করেছে চট্টগ্রাম।

জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল চট্টগ্রাম। ষষ্ঠ ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল দলটি। বিশেষ করে চতুর্থ ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল রায়ান এমরিতের দল। সিলেটের বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম জুনায়েদ সিদ্দিকিকে (৭ বলে ৪) তুলে নেন চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে। পরের বলে নাসির হোসেনকে (০) বোল্ড করে সিলেটকে বোলিংয়ে ভালো শুরু এনে দেন নাজমুল। ২৬ বলে ৩৩ করে ক্রমে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা লঙ্কান ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দোকে ষষ্ঠ ওভারে তুলে নেন ক্রিসমার স্যান্টোকি। সে ওভার শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪২ রান।

জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার রায়ান বার্ল এসে মাত্র ৩ রান করে ফিরলে চট্টগ্রামের বিপদ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু এখান থেকে দুর্দান্ত এক পাল্টা লড়াই শুরু করেন ইমরুল কায়েস এবং চ্যাডউইক ওয়ালটন। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৫২ বলে ৮৬ রানের জুটিতে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু দল জয় থেকে ১৪ বলে ১৩ রানের দূরত্বে পিছিয়ে থাকতে এবাদত হোসেনকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন ইমরুল। ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৩৮ বলে ৬১ রান করেন ইমরুল।

জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে ১১ রান দরকার ছিল চট্টগ্রামের। তখন ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল সিলেটেরও। কিন্তু ১৯তম ওভারে চট্টগ্রামকে কোনোভাবেই আটকাতে পারেননি স্যান্টোকি। তাঁর ওভারেই ১১ রান তুলে নেন ওয়ালটন-নুরুল জুটি। ৩০ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়ালটন। সিলেটের হয়ে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন নাজমুল।