'হট চেয়ার'-এর মজা টের পেলেন রশিদ

আসগর আফগান ও রশিদ খান। এএফপি ফাইল ছবি
আসগর আফগান ও রশিদ খান। এএফপি ফাইল ছবি
>রশিদ খানকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে তিন সংস্করণেই আসগর আফগানকে অধিনায়ক হিসেবে ফেরাল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড

আফগানিস্তান জাতীয় দলে অধিনায়কের জায়গাটা যেন ‘হট চেয়ার’। অন্তত এ বছর বেশি দিন এতে কেউ বসতে পারছেন না। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড এ বছর একবার নয় দুবারও নয়, তিন-তিনবার জাতীয় দলের নেতৃত্ব পাল্টিয়েছে! পাল্টে দেওয়ার সবশেষ নজিরটা দেখা গেল আজ। রশিদ খানকে সরিয়ে আসগর আফগানকে আবারও তিন সংস্করণে অধিনায়ক করা হয়েছে।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) আজ তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ‘এসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিনিয়র খেলোয়াড় আসগর আফগানকে সব সংস্করণে দলের অধিনায়ক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত করা হলো।’ বোর্ডের এক অফিশিয়াল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আসগরকে দায়িত্ব দেওয়া বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত। সে দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।’

অথচ এই আসগর আফগানকেই গত বিশ্বকাপের আগে এপ্রিলে একেবারে হুট করেই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন গুলবদিন নঈব, টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খান এবং রহমত শাহ পেয়েছিলেন টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব। বিশ্বকাপে আফগানিস্তান সব ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর আবারও পরিবর্তন আনা হয় নেতৃত্বে। গত ১২ জুলাই তিন সংস্করণেই জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয় রশিদ খানকে। আজ রশিদকে সরিয়ে নেতৃত্বে ফেরানো হলো আসগরকে, এখন থেকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন রশিদ।

বিশ্বকাপের আগে আসগরের নেতৃত্বভার কেড়ে নেওয়ার সমালোচনা করেছিলেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী। ২০১৭ সালে প্রথম জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী আসগর। এসিবি সভাপতি ফারহান ইউসুফজাই সংবাদমাধ্যমকে জানান, সামনে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ থাকায় প্রধান কোচ, অধিনায়ক ও টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নেতৃত্বভার পাল্টানো হলো।