টানা চার ছক্কা হজম করলেন মোস্তাফিজ

মোস্তাফিজুর রহমান। আজ কুমিল্লার বিপক্ষে। ছবি: প্রথম আলো
মোস্তাফিজুর রহমান। আজ কুমিল্লার বিপক্ষে। ছবি: প্রথম আলো
>কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের দাসুন শানাকার কাছে টানা চার ছক্কা হজম করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। রংপুর রেঞ্জার্সের এ পেসার শেষ ওভারে বেধড়ক মার খেয়েছেন

১৮তম ওভার শেষে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১২৪। শেষ দুই ওভারে ঝড়ঝাপটা যেতে পারে, তা ভেবেই হয়তো ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে এসেছিলেন রংপুর রেঞ্জার্স অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। এরপর যা ঘটল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত অল্পসংখ্যক দর্শক থেকে টিভির সামনে বাংলাদেশের ক্রিকেটমোদীরা তা ভুলে যেতে চাইবেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব ঘটা মোস্তাফিজ ‘ডেথ ওভার’ বিশেষজ্ঞ তকমা পেয়েছিলেন বেশ আগেই। শেষ দিকে কাটার ও স্লোয়ারের মিশ্রণে রান আটকানোর বিদ্যাটা তাঁর ভালোই জানা ছিল। ছিল—কথাটা বলতেই হচ্ছে কারণ গত দু-এক বছর ধরেই মোস্তাফিজের বলে বিষ নেই। স্রেফ দৌড়ে আসছেন, কাটার মারছেন বা সিমের ওপর করার চেষ্টা করছেন—এর বাইরে আর তেমন কিছুই না। কোনো নতুনত্ব নেই , অথচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নাকি তৃণে যত নতুন অস্ত্র সফলতা তত বেশি।

মোস্তাফিজের এ আপ্তবাক্য অজানা থাকার কথা নয়। এত দিন এসব নিয়ে না ভাবলেও আজকের পর হয়তো তাঁকে ভাববেন। কেননা, টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে এমন মার এর আগে তিনি কখনো হজম করেছেন কি না, তা গবেষণার বিষয়। ১৯তম ওভারে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ডেলিভারিতে টানা চার ছক্কা হজম করেছেন মোস্তাফিজ। এরপর শেষ ওভারেও শানাকা-ঝড় ওঠায় কুমিল্লার নিরীহ গোছের সংগ্রহটা শেষ পর্যন্ত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রংপুরের জন্য। ৭ উইকেটে ১৭৩ রান তুলেছে কুমিল্লা।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলারদের ছক্কা হজম করা অস্বাভাবিক কিছুই না। কিন্তু দাসুন শানাকার হাতে মোস্তাফিজ যেভাবে মার খেলেন তাতে ‘ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ’ তকমাটা মোস্তাফিজের সঙ্গে যায় কি না তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে ক্রিকেটমোদীদের। শানাকার সামনে ফুল লেংথে বল করে ছক্কা হজম করেছেন, শর্ট পিচের ওপর কাটার মেরেও ফল পাল্টায়নি। তৃতীয় ছক্কাটা আবার ছিল ‘নো বল’। আর শেষ ছক্কাটা গিয়ে পড়েছে স্টেডিয়ামের বাইরে! ওই ওভারে ২৬ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারের আগে তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৩-০-১২-২। নিজের শেষ ওভারের পর সেটাই দাঁড়াল ৪-০-৩৭-২। সব মিলিয়ে বিপিএলে নিজের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারলেন না জাতীয় দলের পেস বোলিংয়ের এ স্তম্ভ।

জুনায়েদ খানের করা পরের ওভার থেকে ২৩ রান তুলে নেন শানাকা। ৯ ছক্কা ও ৩ চারে ৩১ বলে তাঁর অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংসেই লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে কুমিল্লা।