ব্যর্থ তামিম-আফ্রিদি, লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে নিলেন মাশরাফি

আউট হয়ে চলে যাচ্ছেন তামিম। ছবি: শামসুল হক
আউট হয়ে চলে যাচ্ছেন তামিম। ছবি: শামসুল হক
>নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশামাফিক ব্যাটিং করতে পারল না ঢাকা প্লাটুন। আন্দ্রে রাসেল-অলক কাপালিদের হিসেবি বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করেছেন তামিম-আফ্রিদিরা। শেষে মাশরাফি এসে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিয়েছেন ঢাকা প্লাটুনকে

তামিম ইকবাল, এনামুল হক, শহীদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, লরি ইভান্স—ব্যাটিং শক্তির দিক দিয়ে অন্তত কাগজে-কলমে বেশ ভালো দল ঢাকা প্লাটুন। যদিও নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং শক্তির তেমন পরিচয় দিতে পারল না তারা। ‘বোলার’ মাশরাফি বিন মুর্তজাই টানলেন ঢাকাকে। এনে দিলেন ১৩৪ রানের পুঁজি।

ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তামিম ইকবাল। আবু জায়েদের বলে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ বল খেলে মাত্র ৫ রান করেছেন। ইংলিশ ব্যাটসম্যান লরি ইভান্সকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করার কাজ শুরু করেন এনামুল হক বিজয়, যদিও সে কাজ বেশি দূর এগোতে পারেনি। এক দিকে জাকের আলী-থিসারা পেরেরাদের আসা যাওয়া দেখেই গেছেন এনামুল। যোগ্য সঙ্গী না থাকার দুঃখেই কি না, ধীরেসুস্থে বত্রিশটা বল খেলার পর অলক কাপালিকে তেড়েফুঁড়ে মারতে গেলেন এনামুল। ৩৩ বলে ৩৮ রান করে এনামুল যখন ফিরলেন, ঢাকার স্কোর তখন ১২.১ ওভারে ৬ উইকেটে ৮০।

এ অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলবেন শহীদ আফ্রিদি, ঢাকার সমর্থকেরা এই আশা ঠিকমতো করতে না করতেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে আউট হয়ে যান পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। শেষমেশ মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ওয়াহাব রিয়াদের দুটি ‘ক্যামিও’ ইনিংসের ওপর ভর করে এক শ পেরোয় ঢাকা। পূর্ণ ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ১৩৪ রান। ২ ছক্বায় ১০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মাশরাফি।

বল হাতে রাজশাহীর প্রায় সব বোলার আঁটসাঁট বোলিং করলেও শেষ ওভারে মাশরাফি ঝড়ের মাশুল দিয়েছেন বাকি ম্যাচে দুর্দান্ত বল করা আবু জায়েদ। দুটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন অলক কাপালি, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম ও রবি বোপারা।