খুলনাকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারল কি চটগ্রাম?

খুলনার বোলারদেরই দাপট ছিল বেশি। ছবি: প্রথম আলো
খুলনার বোলারদেরই দাপট ছিল বেশি। ছবি: প্রথম আলো

ইনিংস সূচনার দায়িত্ব কদিন আগেই ভারতে ঝড় তোলা লেন্ডল সিমন্সের হাতে। তাঁর সঙ্গী চ্যাডউইক ওয়ালটনও কম যান না। দুই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আহামরি ভালো করেননি। তবু শুরুটাকে মন্দও বলা যায় না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। কিন্তু ভালো ভিত্তি পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি চট্টগ্রাম। ৪ উইকেট হাতে রেখেও মাত্র ১৪৪ রান তুলেছে চ্যালেঞ্জার্সরা।

পাওয়ার প্লেতেই দুটি ছক্কা ও চারটি চার এনে দিয়েছেন সিমন্স ও ওয়ালটন। তবু বিনা উইকেটে ৩৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম। কারণ, সিঙ্গেল বের করার ক্ষমতায় যে বড্ড পিছিয়ে আছেন দুই উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান। এরই চাপে শফিউল ইসলামের একটি বল সিমন্স (২৬) স্টাম্পে টেনে আনলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি। পরের ওভারেই ওয়ালটন (১৮) বিদায় নিয়েছেন। দলটির বাকি সব ব্যাটসম্যানই এভাবে ২০ এর ঘরের আশে পাশে ছিলেন। সবাই উইকেটে এসে সময় নিয়েছেন ইনিংস গড়ার কাজে, কিন্তু আসল সময়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসেছেন।

গতকালই ইমরুল কায়েস বলেছিলেন, আলোচনা হয় বলে পরে ব্যর্থ হন। সে সুবাদে কাল বেশ আলোচনা হয়েছে তাঁকে নিয়ে। কে জানে এ কারণেই হয়তো আজ ১৪ বলে ১২ রান করে ফিরেছেন রানআউট হয়ে। নাসির হোসেনও টি-টোয়েন্টির দাবি না–মানা এক ইনিংস খেলেছেন ২৪ রান তুলেছেন ২৭ বলে। নুরুল হাসানও ১৭ বলে ১৯ রান করে রানআউট হয়েছেন নাজমুল হোসেনের দারুণ এক থ্রোর সুবাদে। এভাবেই ১৭ ওভার শেষে মাত্র ১০৯ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। প্রথম ৩ বলে ২ ছক্কা হাঁকিয়ে মুখতার আলী একটু ঝড়ের আশা দেখিয়েছিলেন।

ইনিংসের একদম শেষ বলেও ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু মাঝের ১০ বলে আর মাত্র একটি ছক্কাই মারতে পেরেছেন মুখতার। তবু ১৪ বলে তাঁর নেওয়া ২৯ রানই চট্টগ্রামকে ভদ্রস্থ এক স্কোর এনে দিয়েছে। খুলনার বোলিং লাইনআপের সবচেয়ে বিখ্যাত আমিরই ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়েও কোনো উইকেট পাননি।