সাংবাদিকদের দোষ দেখছেন না মাশরাফি

নিজেদের পারফরম্যান্সে সাংবাদিকদের ভূমিকা দেখেন না মাশরাফি। ছবি: বিসিবি
নিজেদের পারফরম্যান্সে সাংবাদিকদের ভূমিকা দেখেন না মাশরাফি। ছবি: বিসিবি

ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্টে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সাংবাদিকদের কাঠগড়ায় তুলছিলেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমরা যখন কোনো সিরিজ খেলতে নামি, আপনাদের একটা বড় ভূমিকা থাকে। আপনারা কিছু মনে করবেন না প্লিজ, এমনভাবে সব প্রশ্ন করেন, যেমন ধরুন রশিদ খান আছে, সেটা বারবার মনে করিয়ে দিতে থাকেন। আপনি যতই সেটা চিন্তা না করতে চান, আপনাকে ভাবিয়ে তুলবেই।’

কাল ইমরুল কায়েসও বললেন মুমিনুল হকের সুরে সুর মিলিয়ে। সংবাদ সম্মেলনে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেন থাকে না এ ধারাবাহিকতা? উত্তরে ইমরুল সাংবাদিকদের কাঠগড়ায় তুললেন, ‘আপনাদের এই বলার জন্য ছন্দ হারিয়ে ফেলছি! ফর্মে থাকতে থাকতে ফর্ম হারিয়ে ফেলি!’

সাংবাদিকদের জন্য একটা দলের ব্যাটিং বিপর্যয় হচ্ছে, একজন ব্যাটসম্যান ছন্দ হারিয়ে ফেলছে—ক্রিকেটে ব্যতিক্রম ঘটনাই বটে। মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য ইমরুল-মুমিনুলের মতো সাংবাদিকদের দোষারোপ করার পক্ষে নন। সাংবাদিকদের বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে না নেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের, ‘বিষয়টা ব্যক্তিগতভাবে না নেওয়াই ভালো। অনেকে হয়তো মিডিয়ার চাপ সামলাতে অতটা অভ্যস্ত নয়। অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা বাইরের অনেক কিছু খেয়াল করে। আমি খারাপ করলে আপনারা লিখবেন, ভালো করলেও লিখবেন। আমার কাছে মনে হয়, অনেকে (খেলোয়াড়েরা) এগুলো পড়ে বা দেখে। চাপটা চলে আসে বা মাথায় নিয়ে নেয়।’

সতীর্থদের প্রতি মাশরাফির কিছু গুরুত্ব পরামর্শ আছে, ‘পেশাগত দিক দিয়ে চিন্তা করে দেখলে আপনারাও (সাংবাদিকেরা) একটা জায়গায় আছেন, খেলোয়াড়রাও একটা জায়গায় আছে। সবাই যে যার জায়গা থেকে কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক। সংবাদমাধ্যমকে দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। সংবাদমাধ্যমকে দোষ দিয়ে ভালোও খেলা যাবে না। সংবাদমাধ্যমকে যদি দোষ দিয়েই থাকে, সেটা আমার মাঠের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণেই। যা লেখা হয়, সেটা যদি মনে হয় যে মানসিকভাবে চাপে ফেলে দেবে তাহলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো। সাধারণত বড় খেলোয়াড়েরা এটাই করে। যার যে পেশা সেটিতে স্থিতিশীল হওয়া জরুরি। আপনি খেলোয়াড়, বাইরের বিষয় নয়, খেলা নিয়েই চিন্তা করুন।’