লাবুশেনের হ্যাটট্রিক, অচেনা স্মিথ

কঠিন এক দিনে দলকে পথ দেখিয়েছেন লাবুশেন। ছবি: এএফপি
কঠিন এক দিনে দলকে পথ দেখিয়েছেন লাবুশেন। ছবি: এএফপি

দিবারাত্রির টেস্ট খেলার নেশায় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দিবারাত্রির টেস্ট দিয়ে সিরিজ শেষ করার পর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও গোলাপি বল দিয়েই সিরিজ শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। গ্যাবার প্রথম দিনটা অবশ্য পুরোপুরি স্বাগতিকদের হয়নি। প্রায় ২০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ৪ উইকেটে ২৪৮ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম দুই স্পেলে দিনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ভয়ংকর গরমে স্বচ্ছন্দে থাকতে দিচ্ছিলেন না পেসারদের। তবে এর মাঝেই কড়া লাইন–লেংথে টিম সাউদি, নিল ওয়াগনাররা বেঁধে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের। প্রথম সেশনেই ফিরে গিয়েছিলেন জো বার্নস (৯) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৪৩)। কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লাবুশেন দলকে পথভ্রষ্ট হতে দেননি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরির পর আজও সেঞ্চুরি পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ২০১৯ সালে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক সেঞ্চুরিও পেয়েছেন দুর্দান্ত ভঙ্গিতে। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ছক্কাটি মেরেছেন মিচেল স্যান্টনারের বলে। আর ওতেই ৯৫ থেকে এক লাফে ১০১-এ পৌঁছে গেছেন। ১৬৬ বলে সেঞ্চুরি করা লাবুশেন দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ১১০ রানে।

বল ও রানের ব্যবধান বলছে খুবই স্বচ্ছন্দে ছিলেন লাবুশেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো লকি ফার্গুসনের গতি ও ওয়াগনারের শর্ট বলে অস্বস্তিতে ছিলেন স্মিথ-লাবুশেন দুজনই। স্মিথ তো ফার্গুসনের বলে ক্যাচই দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু টম ল্যাথাম সেটা হাতে নিতে পারেননি। স্মিথকে তুলে নিয়েছেন ওয়াগনার। টানা শর্ট বল করার পুরস্কার তুলে নিয়েছেন লেগ স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে। অ্যাশেজের পর আজও শরীর তাক করা বোলিং ও তার সঙ্গে লেগ স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডিংয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন স্মিথ। মাত্র ৪৩ রান তুলতে ১৬৪ বল খেলেছেন। চরিত্রবিরোধী উইকেটের অনেক বাইরের বলে শট খেলার চেষ্টাও করতে দেখা গেছে তাঁকে। স্মিথের রানবন্যা আটকানোর উপায় হয়তো পেয়েই গেল পেসাররা!

১৩২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির পর চতুর্থ উইকেটে এসেছে মাত্র ১৮ রান। ম্যাথু ওয়েডের আউটে তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত ও গোলাপি বল—দুটোই ভূমিকা রেখেছে। রাউন্ড দ্য উইকেটে বল করতে আসা পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। তবে সে বল যে এত সুইং করে স্টাম্প ভেঙে দেবে, সেটা হয়তো বোলার সাউদি নিজেও আশা করেননি। ট্রাভিস হেডকে (২০) নিয়ে আগামীকাল বড় স্কোর গড়ার লক্ষ্যে নামবেন লাবুশেন।