বাঘের থাবায় ছিন্নভিন্ন চট্টগ্রাম

মাত্র ১৮ বলে ফিফটি পেয়েছেন গুরবাজ। ছবি: প্রথম আলো
মাত্র ১৮ বলে ফিফটি পেয়েছেন গুরবাজ। ছবি: প্রথম আলো

প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৪৪ রান তুলেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শীতে ফ্লাডলাইটের আলোয় ১৪৫ রানের লক্ষ্য বড় কিছু নয়। তবু গতকাল রাতের ম্যাচে পরে ব্যাট করে রংপুর রেঞ্জার্স ৬৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বলে মনে হয়েছিল, আজও হয়তো রান তোলার কাজটা কঠিন হতে পারে। কিন্তু খুলনা টাইগার্স দেখিয়ে দিল কীভাবে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে হয়। ১৪৫ রানের লক্ষ্য ২ উইকেট হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছে দলটি। তখনো ইনিংসের বাকি ৩৭ বল!

ইনিংসের প্রথম দুই ওভারেই যা একটু নিয়ন্ত্রণ ছিল চট্টগ্রামের। ইনিংসের চতুর্থ বলটা রং ওয়ান করেছিলেন নাসুম আহমেদ। বলটা ধরতে না পেরে খেলতে গিয়ে লাইন থেকে পা বেরিয়ে গিয়েছিল নাজমুল হোসেনের। ক্ষণিকের জন্যই বেরিয়েছিল পা। কিন্তু স্টাম্প ভাঙতে ওটুকুই যথেষ্ট ছিল নুরুল হাসানের জন্য। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ১০ রান তুলেছিল খুলনা।

তৃতীয় ওভারেই নিজের আসল রূপ দেখাতে শুরু করলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। নাসুমকে এক চার ও ছক্কা মেরে শুরু হলো ঝড়। পরের ওভারে রুবেল হোসেনকেও ছক্কা মারলেন। ওই ওভারে রাইলি রুশোও এক চার মেরে জানান দিলেন তিনিও আছেন উইকেটে। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে এলেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক এমরিত। গুরবাজ ও রুশো মিলে তুললেন ১৮ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মুকতার আলী। প্রথম বলটা ডট দিয়েছিলেন এই পেসার। পরের চার বলে ৪, ৬, ৪, ৬! মাত্র ১৮ বলে ফিফটি পেয়ে গেলেন ১৮ বছরের গুরবাজ। পরের বলেই অবশ্য আউট আফগান ওপেনার। ১৯ বলের ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা ছিল তাঁর।

তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ-এই চার ওভারে ৬৪ রান পেয়েছে খুন। পাওয়ার প্লেতে ৭৪ রান তোলার পর ম্যাচ নিয়ে আর কোনো আগ্রহ ছিল না কারও। রাইলি রুশোও প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ দেননি। ১০ ওভারের আগেই এক শ পেরিয়ে গেছে খুলনা। ৩১ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন রুশো। ২২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম।