১৪ বলেই হেরে গেল কুমিল্লা

ঝড় তোলার পর দলকে বল হাতেও ম্যাচ জেতালেন পেরেরা। ছবি: প্রথম আলো
ঝড় তোলার পর দলকে বল হাতেও ম্যাচ জেতালেন পেরেরা। ছবি: প্রথম আলো

১৮১ রানের লক্ষ্য। ৯ ওভার পর্যন্ত ভালোই ম্যাচে ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। কিন্তু ১৪ বলের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে পথ হারিয়ে ফেলেছে দলটি। ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ইনিংসের বাকি সময়টা ধুঁকে ধুঁকে এগিয়ে শুধু ২০ ওভারের কোটাই পূরণ করতে পেরেছে, ম্যাচ জেতা আর হয়নি। থিসারা পেরেরার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে কুমিল্লাকে ২০ রানে হারিয়ে প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে উঠেছে ঢাকা।

৯ ওভারে ৮১ তুলে ফেলেছিল কুমিল্লা। ভানুকা রাজাপক্ষের সুবাদে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল কুমিল্লা। ৩৬ রানে যখন ফিরছেন অন্য ওপেনার ইয়াসির, তখন তার নামের পাশে মাত্র ৩ রান। রাজাপক্ষের ঝড়টা এতই প্রকট ছিল। কুমিল্লার জন্য দুর্ভাগ্য, ইয়াসিরের আগেই দলকে ৩২ রানে রেখে ফিরে গেছেন রাজাপক্ষে। ১২ বলে ২৯ রান করে বোল্ড হয়েছে মাশরাফির বলে। ৩ বলের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ও সামলে নিয়েছিল কুমিল্লা।

সৌম্য সরকার ও ডেভিড মালান রানের গতি ধরে রেখে ভালোই করছিলেন। কিন্তু ঝামেলার সূত্রপাত ওয়াহাব রিয়াজের প্রথম ওভারে। তাঁর বাড়তি গতি ও বাউন্সে এলোমেলো হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সৌম্য (২৬ বলে ৩৫)। ১০ ওভার শেষে তাই ৩ উইকেটে ৮৬ রানেই সন্তুষ্ট হতে হয় কুমিল্লাকে।

তবে কুমিল্লাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে থিসারা পেরেরার প্রথম ওভার। তাঁর দ্বিতীয় বলে স্কুপ করতে গিয়ে এনামুলের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন সাব্বির (৪)। পরের বলেই আবারও এনামুলের গ্লাভসকে পূর্ণ করে দিলেন আগের ম্যাচে ৭৫ রান করা দাসুন শানাকা। ১৪ বল ও ১২ রানের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট হারিয়ে আর ম্যাচে থাকা সম্ভব হয়নি কুমিল্লার পক্ষে। ৩৬ বলে ৪০ করে ইনিংস মেরামত করেছেন ডেভিড মালান। ২৭ বলে ৩৭ করে মাহিদুল ইসলামও শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন। ৯ উইকেতে ১৬০ রান তুলে থেমেছে কুমিল্লা।

ব্যাট হাতে ১৭ বলে ৪২ করা পেরেরা বল হাতেও নিয়েছেন ৫ উইকেট।