'একজন সাকিব এক প্রজন্মে পাওয়া কঠিন'

মাহমুদউল্লাহ। আজ রংপুরের বিপক্ষে। ছবি: প্রথম আলো
মাহমুদউল্লাহ। আজ রংপুরের বিপক্ষে। ছবি: প্রথম আলো
>বিপিএলে আজ রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ভালো খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু নিজেকে তিনি কোনোভাবেই সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তুলনা করতে রাজি নন

উইকেটশিকারে বিপিএল ইতিহাসে সেরা বোলার কে? সাকিব আল হাসান। এ টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সেরা কে? সেটিও সাকিব আল হাসান। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় এবারের বিশেষ বিপিএলে নেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা। কিন্তু সাকিব যেন না থেকেও আছেন। বারবার আসছে তাঁর প্রসঙ্গ।

আজ সাকিব প্রসঙ্গ এল চট্টগ্রাম-রংপুর ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলনেও। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ফিরতে যেহেতু এক বছর, কদিন আগের ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর মাহমুদউল্লাহর মধ্যে সম্ভাব্য বিশ্বকাপ অধিনায়ক দেখছেন সবাই। সে কারণেই হয়তো মাহমুদউল্লাহকে পেয়ে প্রশ্নের সীমানা চট্টগ্রাম-রংপুরের বিপিএল ম্যাচ ছাড়িয়ে গেল।

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের বড় শূন্যতা সাকিবের না থাকা, যিনি কিনা প্রতি ম্যাচেই চার ওভার বোলিংয়ের সঙ্গে টপ অর্ডারে ব্যাট করতেন। তাঁর জায়গায় একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান একাদশে রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কিন্তু ব্যাটসম্যান বাড়াতে গিয়ে বোলিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। মূল বোলারদের একজনের বাজে দিন গেলেই খণ্ডকালীন বোলারদের হাতে বল তুলে দিতে হচ্ছে অধিনায়ককে।

বিশ্বকাপের আগে থেকে কাঁধের চোটের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে অনিয়মিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার ভাবলেও দলের প্রয়োজনে বোলিংয়ে আরও নিয়মিত হতে চান মাহমুদউল্লাহ। আশা জাগাচ্ছে আজকের পারফরম্যান্স, চোট থেকে ফিরেই রংপুরের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।

ভালো করেছেন বলে শূন্যতা পূরণে মাহমুদউল্লাহ কিছুতেই নিজেকে সাকিবের সঙ্গে তুলনা করতে রাজি নন, ‘সাকিবের সঙ্গে যদি নিজেকে পরিমাপ করতে যাই তাহলে সেটা ঠিক হবে না। একজন সাকিব এক প্রজন্মে পাওয়া কঠিন। সাকিব একজনই। আমরা সবাই জানি, ওর সামর্থ্য কতটা, ক্রিকেটীয় দক্ষতা বা মস্তিষ্ক। আমি চেষ্টা করব। ওর মতো বোলিংয়ে যদি অবদান রাখতে পারি, তাহলে খুশি হব।’

মাহমুদউল্লাহ নিজেকে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার ভাবতে পছন্দ করেন। তাঁর কাছে ব্যাটিংয়ের গুরুত্ব আগে। তাই বলে বোলিংয়ে মোটেও তাঁর অনীহা নেই, ‘বোলিং আমার কাছে বাড়তি সুবিধা। জাতীয় দলে অনেক বিকল্প আছে। আফিফ আছে, মোসাদ্দেক আছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁরা খুবই কেজো বোলার। আমি ভালো সুযোগ পেলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব।’