দলকে জিতিয়েও মুশফিকের সেঞ্চুরির আক্ষেপ

দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ছবি: শামসুল হক
দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। ছবি: শামসুল হক

প্রথম ইনিংসে ঝড় তুলেছিলেন শোয়েব মালিক। এই পাকিস্তানির ৮৭ রানে রান পাহাড়ে চড়েছিল রাজশাহী রয়্যালস। কিন্তু ম্যাচ শেষে সে ইনিংসটা মনেই রাখলেন না কেউ। মুশফিকুর রহিমের স্ট্রোক দ্যুতিতে যে আড়ালে পড়ে গেছেন সবাই। দুর্দান্ত এক ইনিংসে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন মুশফিক। একটুর জন্য টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিটা হাতছাড়া হয়েছে খুলনা অধিনায়কের।

শোয়েবের ৮৭ ও রবি বোপারার ৪০ রানে ১৮৯ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিল রাজশাহী। শেষ ৬ ওভারেই ৮১ রান তুলেছে দলটি। এর মাঝে আমিনুল ইসলামের লেগ স্পিনে তিন ছক্কা হাঁকিয়েছেন শোয়েব। এই অলরাউন্ডার ৫০ বলের ইনিংসে আরও একটি ছক্কা ও ৮টি চার ছিল। আর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৫১ বলে ৯৬ করা মুশফিক মেরেছেন ৯ চার ও ৪ ছক্কা।

১৯০ রানের লক্ষ্য সব সময়ই কঠিন। সেটাকে আরও কঠিন করে ফেলেছিলেন নাজমুল হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আন্দ্রে রাসেলের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার। তাঁর সঙ্গী রহমানউল্লাহ গুরবাজও বিদায় নিয়েছেন তৃতীয় ওভারে। তাতে খুলনার অবশ্য কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রথম দুই ওভারেই চারটি চার মারা রাইলি রুশোর সঙ্গী হিসেবে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য রানে রুশোর সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন মুশফিক। এমনকি রুশো আউট হওয়ার আগেই তাঁকে টপকে গেছেন মুশফিক। দ্বাদশ ওভারে কামরুল ইসলামের বলে ৩৫ বলে ৪২ রান করা রুশো বিদায় নিয়েছেন।

এর পর দারুণ এক জুটি গড়েছেন শামসুর রহমান ও মুশফিকুর। মাত্র ২২ বলে ৫৭ রান তুলে ফেলেছিলেন এ দুজন। এর মাঝে ৩০ বলে পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছেন মুশফিক। আর তাইজুল ইসলামকে বিপিএলের সবচেয়ে বড় ছক্কা মেরেছেন শামসুর (১০৬ মিটার দূরে)। শেষ ৪ ওভারে ৩৬ রান দরকার ছিল খুলনার। আন্দ্রে রাসেলের ওভারের প্রথম ৫ বলে মাত্র চার রান তুলেছিল খুলনা। শেষ বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন শামসুর (২৯)।

১৮তম ওভারে তাঁর হাতে বল দেওয়া যে কত বড় ভুল ছিল সেটা ১৪ রান দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন ফরহাদ রেজা। শেষ দুই ওভারে ১৮ রান দরকার ছিল খুলনার। ১৯তম ওভারে রাসেলের প্রথম তিন বলে মাত্র ৩ রান এসেছিল। চতুর্থ বলেই ছক্কা মেরে চাপ কমিয়ে দিয়েছেন মুশফিক, পরের বলেই চার।

শেষ ওভারে মাত্র ৪ রান দরকার ছিল। ম্যাচ যে খুলনা জিতছে তাতে কারও সন্দেহ ছিল না, বরং আগ্রহ মুশফিকের সেঞ্চুরি হবে কি না তা নিয়ে। দলের ৪ দরকার হলেও মুশফিকের দরকার ছিল পাঁচ রান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে অন্যপ্রান্তে এলেন মুশফিক। পরের বলে ফ্রাইলিং নিলেন এক রান। ৪ বলে দরকার ২, মুশফিকের ৪। কিন্তু তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়লেন মুশফিক। ৫১ বলে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেই সন্তুষ্ট হতে হলো মুশফিককে। পরের বলেই চার মেরে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন ফ্রাইলিংক।