বাংলাদেশের ফুটবলে 'নতুন কিছু' শুরু করতে পারবে পুলিশ?

অনুশীলনের আগে তাত্ত্বিক ক্লাস নিচ্ছেন পুলিশের কোচ নিকোলা ভিটরোবিচ। ছবি: ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।
অনুশীলনের আগে তাত্ত্বিক ক্লাস নিচ্ছেন পুলিশের কোচ নিকোলা ভিটরোবিচ। ছবি: ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া।
>

খাতা কলমে বাংলাদেশের ফুটবল পেশাদার যুগে নাম লেখানোর পর, এই প্রথম দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ফেডারেশন কাপের ম্যাচ দিয়ে আজ নতুন যুগ শুরু হতে যাচ্ছে তাদের।

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। বাংলাদেশের ফুটবল পেশাদার জগতে নাম লেখানোর পর প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ারে লিগে খেলতে যাচ্ছে সার্ভিসেস দলটি। এর আগে আজ শুরু হতে যাওয়া মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৪ টায়।
সর্বশেষ ২০০২ মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে খেলেছিল পুলিশ। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শিরোপা জিতে প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা। প্রিমিয়ার লিগে খেলব—এমনটা ভেবেই সন্তুষ্ট থাকতে চান না পুলিশের কর্মকর্তারা। রীতিমতো শক্তিশালী দল তাদের। কোচ হিসেবে আছেন সাইপ্রাসের নিকোলা ভিটরোভিচ। এই কোচের অধীনে প্রস্তুতিটাও পুলিশ শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। স্থানীয় তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে পুয়ের্তোরিকো জাতীয় দলের স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক সিডনি রিবেরা, কিরগিজস্তানের ডিফেন্ডার এইদার মামবেতায়িভ, মিডফিল্ডার আরতুরো মুলাদজানভ ও বুলগেরীয় ডিফেন্ডার আন্তোনীয় লাচকভ আছেন। সেই সঙ্গে আছেন মন্টেনিগ্রোর স্ট্রাইকার লুকা রাতকোভিচ।

প্রায় তিন মাসের অনুশীলন শেষে নতুন মৌসুম শুরুর আগে দলের ওপর দারুণ আস্থা কোচ নিকোলার। তবে শিরোপার লড়াই নয়, ফিরে এসে টিকে থাকাটাই তাদের লক্ষ্য, ‘ক্লাব আমাকে দল গড়ার অবাধ স্বাধীনতা দিয়েছে। দলটা ভারসাম্যপূর্ণও হয়েছে। এখানে আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ভাবছি না। দিনকে দিন উন্নতি করতে চাই। প্রিমিয়ারে উঠেছি, এখানে টিকে থাকতে চাই।’
ফেডারেশন কাপে আজ তাদের প্রতিপক্ষ আবাহনী লিমিটেডের সামনে টানা চতুর্থ ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয়ের হাতছানি। ১৯৮০ সালে ফেডারেশন কাপ শুরুর পর তিনবার যৌথভাবেসহ টানা ৫ বার শিরোপা জিতেছে মোহামেডান। সেই রেকর্ড ভাঙতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আকাশি-নীল দল। কোচ মারিও লেমোস বলেছেন, ‘ফেডারেশন কাপে টানা ৫টি শিরোপা জয় অনেক বড় ব্যাপার। তবে চারটি জিততে পারলে সেটিও হবে আবাহনীর ইতিহাসে বড় সাফল্য। আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হতে লড়ব।’

ফেডারেশন কাপের আরেকটি তাৎপর্যও আছে। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ২০২১ সালে এএফসি কাপের প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাবে। গতবার যেমন ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২০২০ এএফসি কাপে প্লে-অফ খেলেছিল আবাহনীই।