ড্রয়ে শুরু জামাল ভূঁইয়াদের

রহমতগঞ্জকে কোনো গোল দিতে পারল না সাইফ। ছবি: বাফুফে
রহমতগঞ্জকে কোনো গোল দিতে পারল না সাইফ। ছবি: বাফুফে

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াসহ একাদশে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ৫ জন ফুটবলার। সঙ্গে তাজিকিস্তান জাতীয় দলের মিডফিল্ডার জাহাঙ্গীর আরগাশেভ ও উগান্ডা জাতীয় দলের সেন্টার ব্যাক এমেরি বায়িসেঙ্গে। বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের প্রেক্ষাপটে তিন দেশের সাত জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিয়ে তারকা সমৃদ্ধ এক দলই সাইফ স্পোর্টিং। কিন্তু তাদের মৌসুম শুরু হলো ড্র দিয়ে। ফেডারেশন কাপে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাইফ।

পোস্টের নিচে পাপ্পু হোসেন; দুই ফুল ব্যাক রহমত মিয়া ও ইয়াসিন আরাফাত; মাঝমাঠে জামাল; লেফট উইংয়ে আরিফুল ইসলাম। জাতীয় দলের এই ৫ জনের সঙ্গে ৪-২-৩-১ ফরমেশনে সেণ্টারব্যাক বাইসাঙ্গে ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেন আরগাশেভ। রক্ষণভাগ যেমন শক্তিশালী, আক্রমণভাগেও আছে বৈচিত্র্য। কিন্তু সাইফ আজ একটি বারের জন্যও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারেনি। তাই ১ পয়েন্ট পাওয়াও কম নয় দলটির জন্য।

অন্যদিকে দুর্বল দল নিয়েও ৩ পয়েন্ট না পাওয়ায় কপাল চাপড়ালেন রহমতগঞ্জ কোচ গোলাম জিলানি। তাঁর দল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। একটি বল ফিরে এসেছে পোস্টে লেগে। এ ছাড়া পুরান ঢাকার দলটির সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাইফ গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন।

নিচ থেকে খেলা তৈরি, মাঝমাঠে পাসের পর পাস। দেখার জন্য ভালোই। কিন্তু প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগ ভাঙার জন্য যে বৈচিত্র্য প্রয়োজন, তা সাইফের খেলায় পাওয়া গেল না। বাঁ প্রান্তে আরিফ ও ইয়াসিনকে দিয়ে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা ছিল। কিন্তু তাদের পা থেকে আসা সব ক্রসই জমা পড়েছে রহমতগঞ্জের দুই দীর্ঘদেহী বিদেশি সেন্টার ব্যাক আকপোপোভ আসরোরোভ ও কামারা ইউনুসার মাথায়। সাইফের মালদ্বীপ কোচ মোহাম্মাদ নিজামের বিকল্প পরিকল্পনা ছিল কিনা শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত বোঝা গেল না।

উল্টো প্রতি আক্রমণে সাইফকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে বেশ কয়েকবার। ঢাকার মাঠের পুরোনো সৈনিক গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার মোমোদু বার কাছে বারবার পরাস্ত হয়েছে তাদের হাই প্রোফাইল রক্ষণভাগ। ৬৪ মিনিটে মোমোদু বার একটি জোরালো ভলি সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ মুহূর্তেও এই গাম্বিয়ানের জোরালো শট দারুণ সেভ করেছেন পাপ্পু। গাম্বিয়ান এই স্ট্রাইকারকে ভালো সঙ্গে দিয়েছেন স্থানীয় ফরোয়ার্ড সোহেল মিয়া। গোল পেতে পারতেন তিনিও। কিন্তু দিনটা সাইফ বা পাপ্পুর ছিল বলেই রহমতগঞ্জ জয় পেল না।