জিতলেও মন ভরাতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস

নতুন মৌসুম শুরু করল বসুন্ধরা কিংস
নতুন মৌসুম শুরু করল বসুন্ধরা কিংস

ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নাম লিখিয়েই শেষ মৌসুমে দুটি ট্রফি জয় করেছিল বসুন্ধরা কিংস। সাফল্যের ক্ষুধা বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো সেরা খেলোয়াড়দের ধরে রেখে নেওয়া হয়েছে আরও জাতীয় দলের ফুটবলার। কিন্তু শক্তি বাড়ালেও প্রথম ম্যাচে গোছানো লাগেনি করপোরেট ক্লাবটিকে। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় দিয়ে মৌসুমসূচক ফেডারেশন কাপ শুরু করলেও কিংসের খেলায় পাওয়া গেল না আগের দাপট।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বসুন্ধরা কিংসের খেলা দেখে কারই মন ভরেনি। শেষ মৌসুমে দেখা বসুন্ধরার সঙ্গে গতকালের দলটিকে মেলানো গেল না। মৌসুমের প্রথম ম্যাচ বলেই হয়তো জড়তা কাটাতে পারেনি। যদিও দলটির ডাগআউটে সেই আক্রমণাত্মক ফুটবলের সমর্থক স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন। যিনি প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নেশায় প্রথাগত এক বা দুই ডিফেন্ডার নিয়ে একাদশ সাজাতে পছন্দ করেন। এই ট্যাকটিকসের জোরে শেষ লিগে টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছিল তাঁর দল। কিন্তু নতুন মৌসুমের শুরুতে তাঁর দর্শনে অনেকটা পার্থক্য।

আজ কিংসের একাদশে প্রথাগত ৬ ডিফেন্ডার। রক্ষণভাগের ৪ জনের সামনে দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার আর্জেন্টাইন নতুন অতিথি নিকোলাস ডেলমন্তে ও তাজিকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক আকতাম নাজারোভ। প্রথাগত লেফট ব্যাক নাজারোভের কাঁধে মিডফিল্ডারের দায়িত্ব তুলে দেওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না তিনি। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেওয়ার কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলেও দলের আক্রমণে অবদান ছিল সামান্যই। মাঝমাঠে ফুটে উঠল গত মৌসুমের দুই শিরোপা অন্যতম দুই নায়ক মিডফিল্ডার ইমন বাবু ও বখতিয়ার দুশবেকভের অনুপস্থিতি।

তবু মাত্র চার দিনের অনুশীলন পুঁজি করে মাঠে নামা ব্রাদার্সের দুর্বলতায় সুযোগে আধিপত্য ছিল কিংসেরই। অ্যাটাকিং থার্ডে প্রতিপক্ষের পরীক্ষা নেওয়ার মতো বৈচিত্র্য বা সৌন্দর্য না থাকলেও একের পর এক আক্রমণ করেছে। দুইবার গোল পোস্ট বাধা ও একাধিক গোলের সুযোগ মিস না করলে বড় ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত কিংস। ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে ২৩ মিনিটে লেবাননের ফরোয়ার্ড মোহাম্মাদ কদুর পা থেকে। দানিয়েল কলিনদ্রেসের থ্রু বক্সের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্লেসিংয়ে জালে জড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও এই গোলে ব্রাদার্স গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরীর ভুলের দায় কম নয়।

৩২ মিনিটে ২-০ হতে পারত কলিনদ্রেস ও কদুর রসায়নেই। কিন্তু গোল মুখ থেকে হেডে বল জালে জড়ানোর সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন লেবানিজ এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটেই বসুন্ধরার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভাগ্য। ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে মতিনের প্লেসিং। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাদার্সের আর গোল না খাওয়ার মিশন নিয়ে মাঠে নামে। ফলে বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও গোল বাড়াতে পারেনি কিংস। যদিও ১-০ গোলের জয় নিয়েই খুশি বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজোন।