চট্টগ্রামের ২ রানের আক্ষেপ

শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন ওয়ালটন। ছবি: প্রথম আলো
শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন ওয়ালটন। ছবি: প্রথম আলো

‘আক্ষেপ’ শব্দটাতে আপত্তি থাকতে পারে অনেকের। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হাতে উইকেট ধরে রেখে সেটা কাজেও লাগিয়েছে তারা। শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ২৩৮ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চও তাদেরই করা। সর্বশেষ ম্যাচেই এ কীর্তি করেছে তারা। তবু আক্ষেপ কেন?

আক্ষেপটা ২ রানের। কারণ বিপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ২৩৯ রানের। এই চট্টগ্রামেই চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে গত বিপিএলে এ পাহাড় গড়েছিল রংপুর রাইডার্স। নিজেদের মাঠে নিজেদের বিপক্ষে সে অমর্যাদার রেকর্ড থেকে নাম কাটিয়ে নেওয়ার সুযোগটা একটুর জন্য হাতছাড়া হলো চট্টগ্রামের। তবে এর দায় কোনোভাবেই উইকেটে থাকা চ্যাডউইক ওয়ালটন বা নুরুল হাসানের না।

স্কোরটা এমন পাহাড় রূপ নেবে সেটা যে বোঝা যায়নি ১৭ ওভার শেষেও। ৪ উইকেটে তখন চট্টগ্রামের রান ১৬৬। দাসুন শানাকার ওভার থেকে দুজনই একটি করে ছক্কা মারলেন ওয়ালটন ও নুরুল। সে ওভারে এল ১৮ রান। পরের ওভারে এলেন সৌম্য সরকার। সে ওভারের প্রথম বলেই নুরুলের ছক্কা। প্রান্ত বদল করলেন পরের বলে। পরের চার বলের গল্পটা এমন—৬,৬,৬,৪। মাঝে দুটো ওয়াইড যোগ হওয়ায় সে ওভার থেকে এল ২৯ রান। শেষ ওভারের দায়িত্ব আবু হায়দার। আগের ওভারের পুনরাবৃত্তি হলো আবার। প্রথম বলে নুরুলের ছক্কা, পরের বলে এক।

তৃতীয় বলটি শুধু ওয়াইডই নয়, সঙ্গে চারও হলো। প্রথম দুই বলে ১২ রানের পর পরের দুই বলে দুই সিঙ্গেলের সঙ্গে আরেকটি ওয়াইড। ৪ বলে ১৫ রান। শেষ দুই বলে একটি চার ও ছক্কা। চট্টগ্রাম থামল ২৩৮ রানে। ২৭ বলে ৬ চার ও ছক্কায় ৭১ রান ওয়ালটনের। ১৫ বলে ২ চার-ছক্কায় ২৭ রান নুরুলের। ৩৪ বলের পঞ্চম উইকেট জুটিতে এসেছে ৯৯ রান। শেষ ৩ ওভারে এসেছে ৭২ রান।

এর আগে আভিষ্কা ফার্নান্দো ২৭ বলে ৪৮ রান করে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন। ৪১ বলে ৬২ রান করে ইনিংস গড়ার কাজে অবদান রেখেছেন ইমরুল কায়েস।

বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ                          

স্কোর

ম্যাচ                 

ভেন্যু    

মৌসুম

২৩৯/৪

রংপুর রাইডার্স–চিটাগং ভাইকিংস

চট্টগ্রাম

২০১৮–১৯

২৩৮/৪

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স

চট্টগ্রাম

২০১৯-২০

২৩৭/৫

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস–খুলনা টাইটানস

চট্টগ্রাম

২০১৮–১৯

২২১/৪

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স–ঢাকা প্লাটুন

চট্টগ্রাম

২০১৯–২০

২১৭/৪

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস– রংপুর রাইডার্স

মিরপুর

২০১২–১৩

২১৪/৪

চিটাগং ভাইকিংস–খুলনা টাইটানস

সিলেট

২০১৮–১৯