বাংলাদেশের রেকর্ড ভাঙা হলো না পাকিস্তানের
করাচিতে প্রথম দুদিনে এগিয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তৃতীয় দিনে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হাতে রেখে ৩১৫ রানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়েই করেছে ৩৯৫ রান! যার সব কৃতিত্ব দুই ওপেনার শান মাসুদ ও আবিদ আলীর। ২৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে বিদায় নিয়েছেন শান মাসুদ। ১৩৫ রান করা মাসুদের বিদায়েও হাল ছাড়েননি সিরিজের প্রথম টেস্টেই অভিষিক্ত আবিদ আলী। শ্রীলঙ্কার একমাত্র সফল বোলার লাহিরু কুমারার দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেছেন ১৭৪ রান। এ দুজনের সুবাদে আজ রেকর্ড বইয়ে নতুন করে লেখা হয়েছে অনেক কিছু।
২৭৮
আবিদ আলী ও শান মাসুদের গড়া ২৭৪ রান পাকিস্তানের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। ১৯৯৭ সালে আমির সোহেল ও ইজাজ আহমেদ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৯৮ রান করেছিলেন।
দ্বিতীয়
টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে ওপেনিং জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন পাকিস্তানের। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষেই। ২০১৫ সালে খুলনায় ম্যাচ বাঁচানোর প্রতিজ্ঞায় মাঠে নামা ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে ৩১২ রান তুলেছিলেন।
সেরা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রতিপক্ষের ওপেনারদের সর্বোচ্চ রান এটি। এর আগে ২০০৪ সালে ম্যাথু হেইডেন ও জাস্টিন ল্যাঙ্গার ২৫৫ রান তুলেছিলেন।
তৃতীয়
একই ইনিংসে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি করার কীর্তি এ নিয়ে তিনবার। এর আগের ঘটনাটি ১৮ বছরের পুরোনো। মুলতানে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০১ সালে সাঈদ আনোয়ার ও তৌফিক উমর করেছিলেন সেঞ্চুরি।
নবম
টেস্ট অভিষেকের প্রথম দুই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানের সংখ্যা। প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে এ কীর্তি আবিদ আলীর।
৩২১
ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ইনিংস শেষে আবিদের রান। টেস্ট ইতিহাসে তিন ইনিংস শেষে তাঁর চেয়ে বেশি রান মাত্র দুজনের। ৩৫৫ রান ছিল টিপ ফস্টারের। আর লরেন্স রো করেছিলেন ৩৩৬।