ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা লিভারপুলের

জয়ের পর শিরোপা নিয়ে লিভারপুল খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: এএফপি
জয়ের পর শিরোপা নিয়ে লিভারপুল খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: এএফপি

দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ফ্লামেঙ্গো-লিভারপুল দম আটকানো এক ম্যাচ। বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে রেফারি জানালেন, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। কিন্তু গোলের দেখা নেই! দুই দলের স্কোরলাইনই শূন্য। খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। তাতেই কপাল খোলে লিভারপুলের। লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনোর একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে লিভারপুল। আরেক ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানইউর পর লিভারপুল দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে মালিক হলো এই শিরোপার। আর ফ্লামেঙ্গো হারল তাদেরই স্বদেশি এক খেলোয়াড়ের দেওয়া গোলে।

ফ্লামেঙ্গোকে চেপে ধরেই ম্যাচের শুরুটা করে লিভারপুল। কিন্তু ক্লপের শিষ্যদের ভাগ্য খারাপ। বেশ কিছু ভালো সুযোগ তারা হাতছাড়া করে। প্রথম দশ মিনিটেই অন্তত তিনবার গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল সালাহ-ফিরমিনো-মানেরা। একটিও গোলে পরিণত করতে পারেনি ক্লপের আক্রমণে থাকা এই ত্রয়ী। হেন্ডারসনের বাড়ানো বল চিপ করে জালে জড়াতে চেয়েছিলেন ফিরমিনো। সেটা গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
এরপর নাবি কেইটা, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের শটও বেপথু হয়। একের পর এক গোলবঞ্চিত লিভারপুলকে চেপে ধরতে খানিকটা সময় নেয় ফ্লামেঙ্গো। খেলার শেষদিকে দেখা গেল বলের দখলে লিভারপুলের চেয়ে তারাই এগিয়ে। প্রথমার্ধ দুই দল পার করে গোলশূন্য থেকেই।

ফিরমিনোর (ট্রফি হাতে) গোলে জয় পায় লিভারপুল। ছবি: এএফপি
ফিরমিনোর (ট্রফি হাতে) গোলে জয় পায় লিভারপুল। ছবি: এএফপি

খেলার উত্তেজনার পারদ ওপরে ওঠে দ্বিতীয়ার্ধে; ইনজুরি সময়ে সাদিও মানে ফাউলের শিকার হলে। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজান। হলুদ কার্ডের দেখা মেলে রাফিনিয়ার। পেনাল্টিও পায় লিভারপুল। কিন্তু গোল বাঁধে অন্য জায়গায়। ফাউল বক্সের ভেতরে নাকি বাইরে তা নিয়েই চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তিন মিনিট ভিএআর-এর সাহায্য নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন রেফারি। পেনাল্টি বঞ্চিত লিভারপুল ফ্রি কিকটাও পায়নি! কারণ, ট্যাকলেও কোনো সমস্যা দেখেননি রেফারি।

এমন উত্তেজনার মধ্যেই খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অবশেষে ৯৯তম মিনিটে গোলমুখ খোলে লিভারপুল। হেন্ডারসনের বাড়ানো বল নিজেই শট নিতে পারতেন মানে। কিন্তু ঝুঁকি নেননি। ভেবেছেন নিজের থেকে সতীর্থ ফিরমিনোই সুবিধাজনক জায়গায় আছেন। ফিরমিনোকে বল বাড়িয়ে দিতেই ফাঁকা জালে বল জড়ান তিনি। খানিক বাদেই গোলের সুযোগ পান সালাহ। লিভারপুলের মিসরীয় এই ফরোয়ার্ডকে গোলবঞ্চিত করেন ফ্লামেঙ্গো গোলরক্ষক আলভেস।
অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিলিয়ান জায়ান্টরা। শেষতক ১-০ গোলের জয়ে শিরোপা ঘরে তোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।