'৩৬০ থেকে শূন্য ডিগ্রি হতে দুই দিনও লাগে না'

কাল সিলেটের বিপক্ষে মুদ্রার অন্যপিঠটা দেখলেন মুশফিকুর রহিম। ছবি: প্রথম আলো
কাল সিলেটের বিপক্ষে মুদ্রার অন্যপিঠটা দেখলেন মুশফিকুর রহিম। ছবি: প্রথম আলো
>

খুলনা টাইগার্স কোচ জেমস ফস্টার ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান তকমা দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমকে। খুলনার এ অধিনায়ক মনে করেন এখান থেকে শূন্য ডিগ্রিতে নামতে দুই ম্যাচও লাগে না

মুশফিকুর রহিমের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা সব সময়ই একটা অভিজ্ঞতা। বুঝিয়ে বলার একটা তাড়না কাজ করে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানটির মধ্যে। ব্যাটিংয়ের মতো কথা বলাতেও নিখুঁত হওয়ার একটা চেষ্টা থাকে। উদাহরণ টানতে পছন্দ করেন। কাল সিলেট থান্ডারের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন মুশফিককেই দেখা গেল, শুধু একটি প্রশ্নোত্তর অংশ বাদে।

চট্টগ্রামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসের মুখোমুখি হয়েছিল খুলনা। সে ম্যাচে ৫১ বলে ৯৬ রানে দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে জেতান খুলনা অধিনায়ক। শট খেলেছিলেন উইকেটের চারপাশেই। ম্যাচ শেষে খুলনার কোচ জেমস ফস্টার মুশফিকের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ ব্যাটসম্যান বলেছিলেন। কথাটা কাল মুশফিককে মনে করিয়ে দিতেই খুলনা অধিনায়কের এক কথায় জবাব, ‘কই ভাই! আমি তো জানি না।’

ক্রিকেট বিশ্বে ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান হিসেবে শুধু এবি ডি ভিলিয়ার্সের নামই উচ্চারিত হয়ে আসছে। খুলনা কোচ এ তকমাটা লাগিয়েছেন মুশফিকের গায়েও। সে কথা মনে করিয়ে দিতেই মুশফিকও স্মরণ করিয়ে দিলেন বাস্তবতা, ‘ভাই দুই ম্যাচও লাগে না ৩৬০ ডিগ্রি থেকে শূন্য ডিগ্রিতে আসতে।’ কাট, পুল, স্কুপ কিংবা রিভার্স খেলতে সিদ্ধহস্ত এ ব্যাটসম্যান এরপর পরিষ্কার করলেন নিজের অবস্থান, ‘সেটা (৩৬০ ডিগ্রি) আমি কখনোই বিশ্বাস করি না। নিজেকে ওরকম খেলোয়াড়ও মনে করি না। সব সময় মনে করি আমার খেলা দিনে দিনে যতটুকু উন্নতি করা যায়।’

সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে অবশ্য তেমন ভালো ব্যাট করতে পারেননি মুশফিক। আউট হয়েছেন ৮ বলে ১২ রান করে। তবে উইকেটের চারপাশে শট খেলার পেছনে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটের প্রশংসা করলেন তিনি, ‘উইকেট এত ভালো। আপনি যদি একটু নির্ভার খেলতে থাকেন তাহলে চারপাশে খেলা সম্ভব। ঝুঁকি নেয়া যায় এসব উইকেটে। কৃতিত্ব তাদের দেয়া উচিত। আমি ধারাবাহিক খেলার চেষ্টা করব। চাইব পরের ম্যাচে সেটা ফিরে আসুক।’