লিগের আশা এখনই ছাড়ছে না ম্যানচেস্টার সিটি

গতকাল লেস্টারকে হারিয়েছে ম্যানসিটি। ছবি : এএফপি
গতকাল লেস্টারকে হারিয়েছে ম্যানসিটি। ছবি : এএফপি

মৌসুমের অর্ধেক শেষ হতে চলেছে। এখন লিগের শীর্ষে থাকা তো দূরে থাক, দ্বিতীয় স্থানেই নেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। লিভারপুল ও লেস্টার সিটির পরে তৃতীয় স্থানে তারা। এমন অবস্থায় গতকাল লেস্টারের বিপক্ষে ব্যবধান কমাতে মাঠে নেমেছিল সিটি। সে লক্ষ্যে পুরোপুরি সফল তারা। ৩-১ গোলে জিতেছে গার্দিওলার দল।
টানা দশটা লিগ ম্যাচ জিতে সিটির মাঠ ইতিহাদে এসেছিল লেস্টার সিটি। দুর্দান্ত ছন্দে ছিল ব্রেন্ডন রজার্সের দল। ওদিকে গত সপ্তাহে আর্সেনালকে হারালেও সব মিলিয়ে সিটির অবস্থা তেমন ভালো নয়। ভাবা হচ্ছিল, সিটির দুর্বলতার সুযোগ এবারই ভালোমতো নিতে পারবে লেস্টার। সে লক্ষ্যে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিল ২০১৫ এর চ্যাম্পিয়নরা। ইংলিশ উইঙ্গার হার্ভি বার্নসের পাস ধরে সিটির রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে বক্সের ভেতর কোনায় ঢুকে পড়েন পোড় খাওয়া ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি। সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসনকে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি তাঁকে।

>

প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লেস্টার সিটিকে গতকাল ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটির হয়ে গোল করেছেন সাবেক লেস্টার তারকা রিয়াদ মাহরেজ, ইলকায় গুন্দোগান ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস। লেস্টারের হয়ে একমাত্র গোলটা ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডির

কিন্তু গোল খেয়েই যেন আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে সিটি। ভার্ডিরই সাবেক সতীর্থ রিয়াদ মাহরেজের কল্যাণে মাত্র আট মিনিট পরেই সমতা ফেরায় সিটিজেনরা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক দুই মিনিট আগে পেনাল্টিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সিটির জার্মান মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্দোগান। ডি-বক্সের মধ্যে রহিম স্টার্লিংকে অবৈধভাবে ট্যাকল করার খেসারত দেয় লেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের পরেও লেস্টার ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের দিকে ফেরাতে পারেনি। উল্টো বেলজিয়ান তারকা কেভিন ডি ব্রুইনিয়ার পাস থেকে ম্যাচে নিজেদের শেষ গোল করেন ব্রাজিল তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি।

এই জয়ের মাধ্যমে লিগে নিজেদের আশা এখনো বাঁচিয়ে রাখল ম্যানসিটি। সমান ১৮ ম্যাচ খেলে লেস্টারের চেয়ে এখনো এক পয়েন্ট কম তাদের যদিও। ওদিকে এক ম্যাচ কম খেলেই লেস্টারের চেয়ে দশ ও সিটির চেয়ে এগারো পয়েন্টে এগিয়ে আছে গত রাতে একই সময়ে ক্লাব বিশ্বকাপ জেতা লিভারপুল।