জাতীয় দলের তিন ফুটবলারের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা

এই খেলোয়াড়দের থাকতে হচ্ছে মাঠের বাইরে
এই খেলোয়াড়দের থাকতে হচ্ছে মাঠের বাইরে

তিন ফুটবলারকে নিয়ে দুই ক্লাবের রশি টানাটানিতে প্রথমে জয়ী হয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। তবে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র বসে থাকেনি। আদালতে গিয়ে আপাতত জিতেছে। ডিফেন্ডার রায়হান হাসান, মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও সোহেল রানাকে ২০১৯-২০ মৌসুমে রাসেল ক্রীড়া চক্র ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবের পক্ষে মাঠে নামার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই তিন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে শেখ রাসেলের অভিযোগ, তাঁরা আগাম টাকা নিয়ে আবাহনীতে যোগ দিয়েছেন। শেখ রাসেলের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও আবাহনী ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

গত মৌসুমে আবাহনীতে খেলা রায়হান হাসান ও সোহেল রানা নতুন মৌসুমে শেখ রাসেলে খেলবেন বলে আগাম টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে শেখ রাসেল। কিন্তু তাঁরা থেকে গিয়েছেন পুরোনো আবাহনী ক্লাবেই। আবার ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সোহেল রানা আবাহনীতে নাম লেখানোর আগে তাঁর পুরোনো ক্লাব শেখ রাসেল থেকে টাকা নিয়েছেন বলে শেখ রাসেলের অভিযোগ। এই তিন খেলোয়াড়ের ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয় শেখ রাসেল। গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এই তিন খেলোয়াড়কে ২০১৯-২০ মৌসুমে শেখ রাসেল ব্যতীত অন্য কোনো ক্লাবের হয়ে মাঠে নামার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পেশাদার লিগ কমিটির কর্মকর্তা জাবের বিন তাহের আনসারি ,‘৩ খেলোয়াড়ের ব্যাপারে প্রথমে জজ কোর্টে গিয়েছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। তারা যেন অন্য কোথাও দল বদল করতে না পারে। জজ কোর্ট প্রথমে বলেছিল এই খেলোয়াড়েরা অন্য কোথাও খেলতে পারবে না। কিন্তু পরবর্তীতে বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষের শুনানি শেষে জজকোর্ট রায় দেয়, খেলোয়াড়দের অন্য ক্লাবের পক্ষে খেলতে বাধা নেই এবং শেখ রাসেলের আবেদন না মঞ্জুর করে। এই রায়ের প্রেক্ষিতে বাফুফে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি খেলার সুযোগ দেয়। কিন্তু জর্জকোটের রায়ের বিরুদ্ধে শেখ রাসেল হাইকোর্টে আপিল করে এবং হাইকোর্ট খেলোয়াড়দের অন্য ক্লাবে না খেলার পক্ষে রায় দিয়েছে ।’বাফুফের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘১৮ ডিসেম্বর আবাহনীর প্রথম ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্টের রায়ের কপিটা আমরা পাই। আবাহনী লিমিটেডকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছি।’ চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু।