১৩ বছর পর দেশে টেস্ট জয় পাকিস্তানের

বহু দিন পর দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে জয় পেল পাকিস্তান। ছবি: এএফপি
বহু দিন পর দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে জয় পেল পাকিস্তান। ছবি: এএফপি

করাচি টেস্টে বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আজ শেষ দিনে কোনো রান যোগ করার আগেই দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২৬৩ রানে হেরেছে লঙ্কানরা। ফলে ১৩ বছর দেশের মাটিতে টেস্টে জয় পেল পাকিস্তান। সে সঙ্গে সিরিজ জয়ের স্বাদও ১৩ বছর পর ফিরে পেল পাকিস্তান। এ জয় থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন পাকিস্তানকে ভারতকে অনুকরণ করতে বলছেন শোয়েব আখতার।

প্রথম ইনিংসে বাঁহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির পাঁচ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে আরেক তরুণ নাসিম শাহ পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। এ তরুণদের নিয়ে আশাবাদী শোয়েব। নিজের ইউটিউব চ্যানেল এবার পাকিস্তানকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক তারকা, ‘পাকিস্তানের উচিত সাহসী ক্রিকেট খেলা। এই দলে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগারে হবে, খেলোয়াড়দের নিজেদের ফিটনেস নিয়ে সচেতন হতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তান খুব ভালো খেলছে। আমাদের এ পারফরম্যান্স পুনরাবৃত্তি করে দেখাতে হবে। আমাদের ভালো ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে হবে আমাদের খেলোয়াড়দের।’

পাকিস্তানকে দল হিসেবে ভালো করার দাওয়াই অবশ্য শোয়েবের কাছে আছে। আর সেটা হলো ভারতকে অনুসরণ করা, ‘ভারত দল কীভাবে বদলে গেছে সেটা আমি দেখেছি। পাকিস্তানের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার একটা ধরন আছে। আমরা নতজানু হয়ে খেলি না না। আমরা আগে আগ্রাসী ছিলাম এবং লড়াই করতাম। আমাদের অধিনায়ককে এখন ভারতের অধিনায়কের সঙ্গে তুলনা করে দেখুন। মিসবাহ ও আজহারের উচিত পাকিস্তানকে ভালো করার উপায় খুঁজে বের করা। তাদের উচিত বিরাট কোহলির দলের চেয়ে যেন ভালো হতে পারে সেটাকে লক্ষ্য বানানো।’

কোহলির আক্রমণাত্মক ধরনে মুগ্ধ শোয়েব। আগ্রাসী মানসিকতার কারণে ভারতীয় অধিনায়কের মাঝে পাকিস্তানের কিংবদন্তি অধিনায়কের তুলনা টেনেছেন শোয়েব, ‘কোহলি ফিটনেস নিয়ে একদম পাগল। তার দলও তার দিকে চেয়ে থাকে। যদি অধিনায়ক এতটা ফিট হন, এবং এত উঁচু মানের পারফরম্যান্স দেখান, তখন দলও সেটা করবে। আমি বিশ্বাস করি ইমরান খান যখন অধিনায়ক ছিল, তখন পাকিস্তান দলও তাই করত। সে মাঠে আসত, কারও কথা শুনত না, মাঠের চার পাশে দৌড়াত, ২০-২৫টি ছোট দৌড়, ব্যস। এর পর অনুশীলনে তিন ঘণ্টা বল করত। দলের বাকিদেরও তাই এসে এটা করা বাধ্যতামূলক ছিল। ইমরান খান ট্যাকটিকে এত ভালো ছিল না কিন্তু তিনি জানতেন কীভাবে ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় জোগাড় করতে হয়। ভারতও তাই করছে। কোহলির আচরণ দেখুন, সে যেভাবে নিবেদন দিয়ে খেলে, অন্যরাও তাকে অনুসরণ করে। ভারত নিশ্চিত করে খেলোয়াড়েরা মাঠে ও মাঠের বাইরে নিয়ম মেনে চলছে।’